Advertisment

হায়দরাবাদকাণ্ড: ‘এনকাউন্টার নয়, এটা ঠান্ডা মাথায় খুন’

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুখ খুললেন কেরালা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি কেমাল পাশা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hdyerabad, হায়দরাবাদ, হায়দরাবাদে এনকাউন্টার, হায়দ্রাবাদ, হায়দ্রাবাদে এনকাউন্টার, hyderabad encouter, hyderabad rape murder case, telangana police, তেলেঙ্গানা পুলিশ, হায়দরাবাদ পুলিশ, hyderabad case, hyderabad police encounter, hyderabad news,Ex-Kerala HC judge, B. Kemal Pasha, বি কেমাল পাশা, কেরালা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি, কেরালা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

কেরালা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি কেমাল পাশা। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে যখন সে রাজ্যের পুলিশকে কার্যত ‘মাথায় তুলে’ রেখেছে দেশের বিভিন্ন মহল, সেই প্রেক্ষিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুখ খুললেন কেরালা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি কেমাল পাশা। ‘‘এটা এনকাউন্টার নয়, আমার মনে হয় ঠান্ডা মাথায় খুন’’, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কম-কে ফোনে এমন বিস্ফোরক দাবিই করেছেন ওই বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশের এমন কাজ করা ঠিক হয়নি’’।

Advertisment

আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ এনকাউন্টার: পুলিশের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা, দাবি কমিশনারের

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই তরুণী যে নিখোঁজ, সে অভিযোগ নিয়ে প্রথমে কোনও কর্ণপাতই করেনি পুলিশ। পরে যখন তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল, জনতা যখন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল, তখন নিজেদের গা বাঁচাতে উঠেপড়ে লাগল পুলিশ। হয়তো সে কারণেই ওদের (অভিযুক্তদের) গুলি করে মারা হল। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এ ধরনের শাস্তির বিধান নেই। আমি চাই অভিযুক্তদের কঠোর সাজা দেওয়া হোক। কিন্তু এভাবে নয়’’। কেরালা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, ‘‘পুলিশ জানত, এই পদক্ষেপে আমজনতা নিন্দা জানাবে না। সে কারণেই এমন কাজ করল। তেলঙ্গানার মানুষ খুব খুশি। কিন্তু এটা একটা বিপজ্জনক পরিস্থিতি। পুলিশ হয়তো ভাবতে পারে, মানুষ এটাই চাইছে, তাই যা খুশি করতে পারে তারা’’।

আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ এনকাউন্টার: ‘একদম ঠিক, না হলে জেলে ওরা ফ্রায়েড রাইস-চিলি চিকেন খেত’

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের পর পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ সামনে আসে। যে ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। এ ঘটনায় ৪ অভিযুক্তের কঠোর সাজার দাবিতে সরব হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে ৪ অভিযুক্তের মৃত্যু হয়।

Read the full story in English

national news
Advertisment