তাঁর খাকি উর্দির বয়স তিন দশকেরও বেশি। অন্যজনের খাকি উর্দির বয়স মাত্র চার বছর। কিন্তু তিন দশকেরও বেশি বয়সের খাকি উর্দি হাঁটুর বয়সী খাকি উর্দিকে দেখে স্যালুট জানালেন। কারণ তিন দশকেরও পুরনো খাকি উর্দিধারী চার বছরের খাকি উর্দিধারীর বাবা। হ্যাঁ, বাবা ও মেয়ে দু’জনেই পুলিশে কর্মরত। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশ বাহিনীতে কাজ করে চলেছেন এ আর উমামহেশ্বর শর্মা। বর্তমানে যিনি ডেপুটি কমিশনার পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অন্যদকে সবে চার বছর হল মেয়ের গায়ে উঠেছে খাকি পোশাক। তেলেঙ্গানার জাগতিয়াল জেলার পুলিশ সুপারের চেয়ারে বসে সিন্ধু শর্মা। পদের নিরিখে বাবার থেকে সিনিয়র মেয়ে। অগত্যা মেয়েকে দেখেই স্যালুট জানালেন বাবা। হ্যাঁ, এমন আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী হল রবিবার।
গতকাল কঙ্গারা কালান এলাকায় তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির একটি সভায় এই প্রথমবার খাকি পোশাক গায়ে মুখোমুখি হলেন বাবা-মেয়ে। যে অনুষ্ঠানেই মেয়েকে দেখে স্যালুট জানালেন বাবা। এ প্রসঙ্গে গর্বিত বাবা সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে বললেন, "এই প্রথম আমরা একসঙ্গে কাজ করলাম। ওর সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে নিজেকে।" সাব ইন্টপেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন উমামহেশ্বর। পরে তাঁকে আইপিএস র্যাঙ্ক দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, সিভিক ভলান্টিয়ারের তুলির টানে সেজে উঠছে পুলিশের শিশু বান্ধব কক্ষ
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "ও আমার সিনিয়র অফিসার। তাই ওকে দেখলে আমি স্যালুট করি। আমরা আমাদের কাজ করি। তবে কাজ নিয়ে কখনই বাড়িতে আলোচনা করি না। বরং বাড়িতে আর চার-পাঁচজন বাবা-মেয়ের মতোই আমাদের সম্পর্ক।" কী বললেন মেয়ে? ‘‘আমি খুব খুশি। ওঁর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে পারাটা দারুণ ব্যাপার," বললেন পুলিশ সুপার সিন্ধু। আগামী বছরই অবসর গ্রহণ করবেন উমামহেশ্বর। বর্তমানে মালকাজগিরি এলাকার ডিসিপি হিসেবে কাজ করছেন তিনি। অন্যদিকে ২০১৪ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার সিন্ধু।