হায়দরাবাদে জোড়া বিস্ফোরণের এগারো বছর পর বিশষ এনআইএ আদালত সোমবার এ ঘটনায় দুই অপরাধীর ফাঁসির নির্দেশ দিল। একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দুই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন মোট ৪২ জন। এনআইএ আদালত আনিক সৈয়দ ও ইসমাইল চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তারিক আনজুম নামে অন্য অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় আমিক ও ইসমাইলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সোমবার দেযী সাব্যস্ত করা হয় তারিককে।
২০০৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাত ৭.৪৫ নাগাদ হায়দরাবাদের কোটির রেস্তোরাঁ গোকুল চাট ও লেজার শো চলাকালীন লুম্বিনী পার্কে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গোকুল চাটের বিস্ফোরণে ৩২ জন ও লুম্বিনী পার্কের বিস্ফোরণে ১০ জন মারা যান। বিস্ফোরণে আহত হন ৫০ জনেরও বেশি। ওই রাতেই দিলখুশনগর থেকে উদ্ধার করা হয় একটি না-ফাটা বোমা।
আরও পড়ুন, আলওয়ার গণপ্রহার ও হত্যা মামলা রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরের আবেদন শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
এই বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্যদের ২০০৮ সালের অক্টোবরে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র এটিএস। তাদের খুন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করা হয়।
তেলেঙ্গানা পুলিশের কাউন্টার ইন্টালিজেন্স বিভাগ মহম্মদ সাদিক, আনসার আহমেদ বাদশা শেখ, আকবর ইসমাইল, আনিক শাফিক সৈয়দ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করে, দের মধ্যে বেশ কয়েকজন এখনও ফেরার। অভিযোগ অনুসারে, আনিক শাফিক সৈয়দ লুম্বিনী পার্কে বোমা রেখেছিল, গোকুল চাটে বোমা রেখেছিল রিয়াজ ভটকল এবং না-ফাটা বোমাটি রেখেছিল ইসমাইল চৌধুরী।
কর্নাটকের রিয়াজ ভটকল ও ইয়াসিন ভটকল এই দুই ভাই পাকিস্তানে পালিয়ে গেছে বলেই ধারণা করা হয়।