Advertisment

দৈনিক ভাস্করের বিরুদ্ধে ৭০০ কোটির কর ফাঁকির অভিযোগ আয়কর বিভাগের

শুধু তাই নয়, এই সংস্থার সঙ্গে কোনও যোগ নেই এমন সংস্থাতেও ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছে আয়কর বিভাগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Dainik Bhaskar tax evasion

গত বৃহস্পতিবার দৈনিক ভাস্করের দফতরের তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ।

দৈনিক ভাস্করের বিভিন্ন দফতরে তল্লাশির পর ছ'বছরে ৭০০ কোটি টাকার কর ফাঁকরির প্রমাণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, এই সংস্থার সঙ্গে কোনও যোগ নেই এমন সংস্থাতেও ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছে আয়কর বিভাগ। সংস্থার লভ্যাংশের নথি ও স্টক মার্কেটের নিয়মও দৈনিক ভাস্কর সংস্থা লংঘন করেছে বলে আয়কর দফতরের রিপোর্টে বলা হয়েছে।

Advertisment

গত বৃহস্পতিবার দৈনিক ভাস্করের দফতরের তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। মুম্বই, দিল্লি, ভূপাল, ইন্দোর, নয়দা, আমেদাবাদ সহ দেশের ন'টি শহরের ৯টি বসত বাড়ি ও ১২টি বাণিজ্যিক প্রাঙ্গনে চলে তল্লাশি অভিযান। যা ঘিরে মোদী সরকারকে নিশানা করে বিরোধী রজনৈতিক দলগুলো। শুরু হয় রাজনৈতিক তর্জা।

আয়কর বিভাগের এই রিপোর্টের পর দৈনিক ভাস্করের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ভরত আগারওয়ালকে মেসেজে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। তবে বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল যে, কোভিড মোকাবিলা নিয়ে মোদী সরকারের পদক্ষেপের নানা দিক তুলে ধরে খবর করার মাসুল গল এই আয়কর বিভাগের হানা।

সেদিনই দিব্যা ভাস্কর গুজরাটের সম্পাদক দেবেন্দ্র ভাটনগর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন, 'গত আড়াই মাস ধরে বিভিন্ন কায়দায় প্রথমে সংস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। কেন্দ্র-রাজ্য উভয় সরকারই বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দেয়। অবশ্য এটা তাঁদের বিষয়, বিজ্ঞাপন দেওয়া সরকার বন্ধ করতেই পারে। এসত্ত্বেও সরকার যদি বালো কাজ করে তাহলে আমরা তা প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছি। একইভাবে খারাপ দেখলে তাও প্রতিবেদনে তুলে ধরেছি। তাই আয়কর বিভাগের এই হানা আসলে দৈনিক ভাস্করের ক্রমাগত সৎ ও নির্ভিক সাংবাদিকতার পুরস্কার। এই ধরণের সাংবাদিকতা থেকে আমাদের রোখা যাবে না।'

রিপোর্টে প্রত্যক্ষ করের কেন্দ্রীয় বোর্ড জানিয়েছে যে, 'দৈনিক ভাস্কর সংস্থার ১০০টিরও বেশি আওতাধীন ও ভর্তুকিযুক্ত সংস্থা রয়েছে। তল্লাশিতে প্রামাণ মিলেছে যে, দৈনিক বাস্করের কর্মীদের নামে একাধিক সংস্থা চালানো হচ্ছে। এগুলোতে ভুয়ো লেনদেন হচ্ছে। এমন অনেক কর্মীর নামে সংস্থা খোলা করা হয়েছে যাঁরা এগুলো সম্পর্কে কিছুই জানেন না। বিশ্বাস করে ওই কর্মীরা তাঁদের আধার কার্ড ও ডিজিটাল সাক্ষর দিয়েছিল- যা দিয়ে তাঁদের নামে সংস্থা খোলা হয়েছে।'

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Income Tax Dainik Bhaskar
Advertisment