মঙ্গলবার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা আদালতে জানান, তাকে হত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দেওয়া জবানবন্দীতে আফতাব বলেন, হত্যা করার আগে তাকে উস্কানি দেন শ্রদ্ধা। সেই কারণেই রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে খুন করেন তিনি।
মঙ্গলবার তার পুলিশ হেফাজত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বান্ধবী খুনে অভিযুক্ত আফতাবকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়, সেখানে তিনি জানান, খুনের আগে তাকে উস্কানি দেওয়া হয়, তাই রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে তিনি হত্যা করেন। মঙ্গলবার আদালতে শুনানি শেষে আফতাবের আইনজীবী এমনই দাবি করেছেন।
আফতাব এদিন আদালতকে বলেছেন যে, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন কিন্তু তিনি একবারে সবকিছু মনে করতে পারছেন না এবং যখন যেমন ঘটনা সম্পর্কে তার মনে পড়বে তিনি তদন্তকারীদের সেই তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন। আফতাব এদিন মেট্রোপলিটন আদালতে বিচারপতিকে বলেন, 'উস্কানির কারণেই তিনি শ্রদ্ধাকে রাগের মাথায় হত্যা করেন'। আফতাবের আইনজীবী অবিনাশ কুমার এই তথ্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, “পুলিশ সম্ভবত তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের জন্য তাকে নিয়ে একাধিক জায়গায় তদন্তের স্বার্থে নিয়ে যাবে। আফতাবের শীঘ্রই নারকো টেস্ট করা হবে। এদিন আফতাব তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করেছে। আদালত আফতাবকে আর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে,” । আদালত পুলিশকে নারকো টেস্টের আগে পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। এদিকে দিল্লি হাইকোর্টে পুলিশ জানিয়েছে, আফতাবের হাতে শ্রদ্ধা হত্যার তদন্ত ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: < শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় আরও চার দিন পুলিশ হেফাজতে আফতাব, ফ্ল্যাটে রক্তের চিহ্ন >
এদিকে বান্ধবী খুনে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করা হয়। যাতে শ্রদ্ধা হত্যা মামলার তদন্ত দিল্লি পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়। সোমবার দাখিল করা সেই মামলা তবে মঙ্গলবার আদালত খারিজ করে দেয়।
শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় এক পড়ুয়া আইনজীবী এই আবেদন করেন। পিটিশনে বলা হয়েছে যে দিল্লি পুলিশের কাছে এই ধরণের মামলায় সাক্ষ্য ও সাক্ষীদের তদন্তের জন্য প্রশাসনিক, কর্মীদের অভাব এবং পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। এছাড়াও, এই ঘটনাটি ৬ মাস পুরানো, তাই এর তদন্ত সিবিআইকে হস্তান্তর করা উচিত। পিটিশনে আরও বলা হয়েছে যে দিল্লি পুলিশ মামলা সংক্রান্ত প্রতিটি তথ্য মিডিয়াকে দিচ্ছে, যা আইন অনুযায়ী অনুমোদিত নয়। আজ, দিল্লি পুলিশ আফতাবের একটি নারকো পরীক্ষা করতে পারে, যিনি শ্রদ্ধাকে খুনের পর দেহ ৩৫টি টুকরো করেন। যদিও আদালত সেই পিআইএল আপিল মঙ্গলবার খারিজ করে দেয়।