/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/cats-104.jpg)
'কোটি টাকা দেব, আমার মেয়ে-নাতিকে ফেরাতে পারবেন', মেট্রো পিলার দুর্ঘটনায় প্রশ্ন নিহতের বাবার! গতকালই বেঙ্গালুরু মেট্রোর একটি নির্মীয়মাণ পিলার ভেঙে মৃত্যু হয় এক মহিলা এবং তার আড়াই বছরের ছেলের। মহিলার স্বামী, যার বাইকে তারা যাচ্ছিলেন, তিনিও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মহিলা ও তার সন্তানের মৃত্যু হয়। বুধবার কর্ণাটক সরকারকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন মৃতার বাবা এবং অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তেজস্বিনী, ২৮, এবং তার আড়াই বছরের ছেলের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য-রাজনীতি। বেঙ্গালুরু মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (বিএমআরসিএল) একটি নির্মীয়মাণ পিলার ভেঙে পড়াতেই মৃত্যু হয় মহিলা ও তার ছেলের। মহিলা তার স্বামী লোহিত সোলাকের বাইকে করে যাচ্ছিলেন এবং তার দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পান স্বামী ও মেয়ে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে মাথায় গুরুতর চোট লাগার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তেজস্বিনীর, আড়াই বছরেই ভিহানের মৃত্যু হয় বুকে আঘাত লাগার কারণে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মহেশ বলেন, "অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় মা-ছেলেকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আমরা তাঁদের বাঁচা্নোর সব চেষ্টা করেছি, কিন্তু তিনি বাঁচতে পারেননি।"
এদিকে এই ঘটনায় বিএমআরসিএল মৃতার পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। একই সঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই বলেছিলেন যে মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মৃতার বাবা মদন বলেন, “আমার কোন ক্ষতিপূরণের দরকার নেই। আমি ১ কোটি টাকা দেব। মুখ্যমন্ত্রী কি আমার মেয়ে ও নাতির জীবন ফিরিয়ে আনতে পারবেন? বিএমআরসিএল এবং ঠিকাদার সংস্থা নাগার্জুন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকেই এই গোটা ঘটনার জন্য দায়ি করেছেন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে অদন্ত এবং যথাযথ শাস্তির পক্ষেও সওয়াল করেন মৃতার বাবা।