পুলওয়ামার ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় সার্জিকাল স্ট্রাইক করে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া জানতেই মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল কয়েক জনের সঙ্গে। জওয়ানদের পরিবারের কারা কী প্রতিক্রিয়া জানালেন, রইল পাঠকদের জন্য।
উত্তরপ্রদেশ
অমিত কুমার (২২), কনস্টেবল, শামলি
"সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করায় আমরা খুশি"। নির্দোষের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, আর যারা দোষ করেছে তাঁরা যেন ছাড়া না পায়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, ভবিষ্যতে আর একজন অমিত কুমারকেও যেন এভাবে প্রাণ দিতে না হয়", বললেন ভাই সুনীল কুমার।
প্রদীপ কুমার (৩৮),কনস্টেবল, শামলি,
"ওই জঙ্গি গোষ্ঠীকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা দরকার। আমরা চাই সরকার যেন আমাদেরকে জানায় কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ", জানিয়েছেন প্রদীপ কুমারের ভাই সিদ্ধার্থ সিং।
আর পড়ুন, ফের প্রত্যাঘাত ভারতের, ধ্বংস ৫ পাক পোস্ট
প্রদীপ সিং (৩৫), কনস্টেবল, কনৌজ
স্ত্রী নীরজা দেবি বললেন, "এই ধরনের সার্জিকাল স্ট্রাইক পাক জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়"।
আরও পড়ুন,
রাজস্থান
রহিতাশ লাম্বা(২৮) কনস্টেবল , জয়পুর
নিহত জওয়ানের ভাই জিতেন্দ্র লাম্বা বললেন, "পাক সন্ত্রাসবাদী হামলার ১৩ দিনের মাথায় প্রতিশোধ নেওয়া গেল, তাই খুশি আমরা। পাকিস্তান সহ সারা পৃথিবীর কাছে বার্তা গেল, মোদী সরকার ডিরেক্ট অ্যাকশনে বিশ্বাস করে"।
নারায়ন লাল গুর্জর (৪০) প্রধান কনস্টেবল,
ভাই মহেশ গুর্জর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানালেন, "১৩ দিন পর শান্তি পেলাম। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আমরা গর্ববোধ করছি"।
পশ্চিমবঙ্গ
সুদীপ বিশ্বাস (২৭), কনস্টেবল, নদীয়া
বাবা সন্ন্যাসী বিশ্বাসের কথায়, "আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি, কিন্তু ভারত যে প্রত্যাঘাত করেছে, তাতে খানিকটা বিশ্বাস ফিরে পাচ্ছি"।
বাবলু সাঁতরা (৩৯), প্রধান কনস্টেবল
স্ত্রী মীতা সাঁতরা জানালেন, "দেশ যদি মনে করে এটা উচিত হয়েছে, তাহলে আমিও তাই মনে করব। কিন্তু দেশের জওয়ানদের নিরাপত্তার দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত"।
আসাম
মনিন্দর সিং অত্রি, (২৭), কনস্টেবল, গুরদাসপুর
ভাই লখবীর সিং বললেন, "ভাল পদক্ষেপ। ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ। তবে আমি ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ চাই না। দু' দেশ হাতে হাত রেখে সন্ত্রাস দমনে ব্রতী হোক"।
Read the full story in English