IAF: মাঝ আকাশে পাকিস্তানী যুদ্ধ বিমান এফ-১৬-কে গুলি করে নামানোর পুরস্কার। বীর চক্র প্রদান করে সংবর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমানকে। দুই বছর আগে তৎকালীন উইং কমান্ডার অভিনন্দনের সাহস এবং শৌর্যকে কুর্নিশ জানিয়েছিল আসমুদ্র হিমাচল। পাক বাহিনীর হাতে আটক হয়েও চোখে চোখ রেখে বাকযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিলেন অভিনন্দন। পরে পয়লা মার্চ দিল্লির কূটনৈতিক চাপে তাঁকে ভারতে ফেরায় ইসলামাবাদ। তাঁর এই শৌর্যকে সম্মান জানিয়ে অভিনন্দনকে পদোন্নতি দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। তাঁকে উইং কমান্ডার থেকে উত্তীর্ণ করা হয় গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে।
এবার পাক যুদ্ধ বিমান এফ-১৬-কে ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯-এ গুলি করে নামানোর সাফল্যকে কুর্নিশ জানালেন রাষ্ট্রপতি। এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁর হাতে তুলে দেন বীর চক্র। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পদক তালিকার বিচারে বীর চক্র তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান। আগে শুধু পরমবীর চক্র এবং মহাচক্র।
২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারির পুলওয়ামা হামলা এখনও টাটকা। সেই ঘটনার দুই সপ্তাহ বাদে বালাকোটে আকাশপথে মধ্যরাতে পাল্টা হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশ জঙ্গি ঘাঁটি। তার পরের দিন অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি মাঝ আকাশে অভিনন্দনের বাইসন জেট গুলি করে নামায় পাক অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬-কে। সেদিন এলওসি বরাবর পাক বায়ুসেনার উপস্থিতির খবরেই এই পদক্ষেপ। তারপরেই পাক বাহিনীর পাল্টা গুলিতে সীমান্তের ওপারে নামতে বাধ্য হয় অভিনন্দনের যুদ্ধবিমান। সেই সময় পাক বাহিনীর তরফে আটক করা হয় তাঁকে।
যদিও পয়লা মার্চ সুস্থ শরীরেই ভারতে ফেরানো হয় এই গ্রুপ ক্যাপ্টেনকে। বায়ু সেনার মেডিক্যাল বোর্ড অভিনন্দনের শারীরিক পরীক্ষা করে তাঁকে ফের যুদ্ধবিমানের ককপিটে ফিরতে অনুমতি দেয়। এদিন রাষ্ট্রপতি বীর চক্রের মাধ্যমে বরণ করে নিয়েছেন এই সাহসী সেনা জওয়ানকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন