নথিভুক্তকরণ শুরুর মাত্র চার দিনের মধ্যেই অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রায় লাখখানেক আবেদন পেল ভারতীয় বায়ুসেনা। ১৪ জুন অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার পরই দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছিল বিক্ষোভ। একসপ্তাহ ধরে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে জ্বলেছে একের পর এক ট্রেন, স্টেশন, দোকানপাট, গাড়ি। বিভিন্ন মহল দাবি করেছিল, এই রোষ দেশের যুবশ্রেণির। এই ক্ষোভ দেশের চাকরিপ্রার্থীদের। তারা অগ্নিপথ প্রকল্প চায় না। সেই কারণে এই প্রকল্প প্রত্যাহার করা উচিত।
যদিও সেই সময় অবস্থানে অনড় থেকে ভারতীয় সেনা ও কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল, এই প্রকল্প ভেবেচিন্তেই নেওয়া হয়েছে। এই বিক্ষোভে দেশের বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীর সায় নেই। তারা এই বিক্ষোভে যোগ দেয়নি। সেনাকর্তাদের কথা যে মিথ্যে নয়, এবার যেন তা প্রমাণ হয়ে গেল। শুক্রবার অগ্নিপথ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মাত্র চার দিনেই বায়ুসেনায় যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করেছেন ৯৪,২৮১ জন।
ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৫৬,৯৬০টি আবেদন জমা পড়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এ ভারত ভূষণ বাবু টুইট করেছেন, ' সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মোট ৯৪,২৮১টি আবেদন জমা পড়েছে। ৫ জুলাই পর্যন্ত নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া চলবে। এই প্রকল্পে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সি যুবকদের চার বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে নিযুক্ত করা হবে। তার মধ্যে ২৫ শতাংশকে পরবর্তীতে ১৫ বছরের জন্য সেনাবাহিনীর চাকরিতে নিয়োগ করা হবে।'
আরও পড়ুন- ইডির সমন ষড়যন্ত্র, গুয়াহাটির পথ নেব না, পালটা হুমকি সঞ্জয় রাউতের
দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলাকালীনই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক গত ১৬ জুন শুধুমাত্র প্রথমবারের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে। সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ বছর করা হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়, পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী, স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিভিন্ন সংস্থায় চাকরিতে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি বিজেপিশাসিত রাজ্যও জানিয়ে দেয়, তাদের রাজ্যের পুলিশ বাহিনীতে অগ্নিবীররা অগ্রাধিকার পাবেন। তবে, যাঁরা এই নিয়োগ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পথে নেমে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ করেছেন, তাঁদের আবেদন গৃহীত হবে না-বলেই জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
Read full story in English