হার্কিউলিস হোক কিংবা সদ্য সেনাবাহিনীর হাতে আসা অ্যাপাচে হেলিকপ্টার, লাদাখ সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সব প্রচেষ্টাই চালানো হচ্চে বায়ুসেনার তরফে। শনিবারই বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল আর কে এস বাহাদুরিয়া বলেন, "খুব ভালোভাবে তৈরি আমরা, সেনা মোতায়েনের কাজও ভালোভাবে হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে গালওয়ান সীমান্তে যেভাবে যুদ্ধাবহ তৈরি হয়েছে সেখানে ভৌগলিক অবস্থানের কথা বিচার করলে বাড়তি সুবিধা পাবে বায়ুসেনারাই। গালওয়ানের পাহাড়ি সীমান্তে হার্কিউলিসের এয়ারস্ট্রিপও খুব ভাল কাজে আসবে বায়ুসেনার এমনটাই মত তাঁদের।
আরও পড়ুন, লাদাখে বিরাট সংখ্যক সেনা মোতায়েন, হেলিকপ্টার-কামানে সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি ভারতের
বায়ুসেনার প্রাক্তন উপ মার্শাল কে কে নৌহর (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন যে এই লাদাখ সীমান্তের পকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনাদের জন্য বায়ুসেনাদের সরাসরি সহযোগিতার কথা আগে ভাবা হয়নি। তবে প্রাক্তন উপ মার্শালের মত, এটা সম্ভবপর হবে বর্তমানে। অন্যদিকে একই সুর অপর
উপ মার্শাল মনমোহন বাহাদুর (অবসরপ্রাপ্ত)-এর গলায়। তিনি বলেন, "বায়ুসেনাদের ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর সামগ্রিক শক্তি বৃদ্ধি করা হয়। তবে সেক্ষেত্রে অপর পক্ষ সেই শক্তি ব্যবহার করলে তবেই আরেক পক্ষ তা ব্যবহার করতে পারে।"
আরও পড়ুন, ভারত-চিন সমস্যা আলোচনাতেই মিটবে, আশা নেপাল-আফগানিস্থানের
যদি বায়ুসেনার প্রাক্তনদের মত চিন তাঁদের বায়ুসেনা শক্তি ব্যবহার করতে পারে এটা ভেবে আগাম পরিকল্পনা করাই ভাল। তাঁদের এটাও মত সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে সেনা ও কামান-হেলিকপ্টার-যন্ত্রপাতি যুদ্ধক্ষেত্রের অভিমুখে রাখাই শ্রেয়। সেই দিক থেকে লেহ এবং থোয়েইস এলাকার ঘাঁটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই দুই এলাকার ঘাঁটিগুলিতে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে সেসব এয়ারক্র্যাফট রয়েছে তা দিয়ে সেনা নামানো থেকে বন্ধুর স্থানে অবতরণ সবই করা যায়। যেমন অ্যাপাচে হেলিকপ্টার মূলত আক্রমণের কাজেই ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে চিনুকের মাধ্যমে সেনাদের নিয়ে যাওয়া থেকে উচ্চ উচ্চতা থেকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সামগ্রী নামানো সবকাজই করা যায়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন