সোমবার, কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং গমের ওপর এর প্রভাব পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। শস্যের মূল্যস্ফীতি এবছর জানুয়ারিতে রেকর্ড ১৬.১২ শতাংশ বেড়েছে। প্রাথমিকভাবে গম এবং আটা ও ময়দা, যার ভোক্তামূল্য বার্ষিক ২৫.০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি গুদামে গম মজুদের পরিমাণও কমেছে।
১ ফেব্রুয়ারিতে পরিমাণটা ছিল ১৫৪.৪৪ লক্ষ টন। যা একই তারিখে গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। যাইহোক, অনিশ্চয়তার একটি বড় উৎস এখন গম। খেতে যে ফসল আছে, তা এপ্রিল মাসে কাটা হবে। গত বছর, মার্চে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে শস্যে স্টার্চ এবং প্রোটিন জমেছিল। যার ফলে উৎপাদন এবং সরকারি গম ক্রয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল।
এইবার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, সর্বাধিক এবং সর্বনিম্ন উভয় তাপমাত্রাই বেশ বেশি। ইতিমধ্যেই অনেক গমচাষির এলাকায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কিন্তু ২০২২ সালের মার্চের পুনরাবৃত্তি আবার ঘটবে কি না তা নির্ভর করবে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর। বিশেষ করে, বসন্ত শেষের পর গ্রীষ্মের শুরু আর সেই সময় শস্যের চূড়ান্ত গঠন এবং বেড়ে ওঠা, গম ফসলকে যথেষ্ট চাপের মধ্যে রেখেছে।
আর, এই পরিস্থিতিতেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি কোনও রাস্তা আছে? নাকি এভাবেই চলবে? ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (ICAR)-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, এক্ষেত্রে রাস্তা বলতে বপনের সময়কে এগিয়ে নেওয়া। তাহলে, আবহাওয়ার কষ্টদায়ক সময়টা এড়ানো যাবে।
গম উৎপাদন করতে সাধারণত ১৪০-১৪৫ দিন সময় লাগে। নভেম্বরে এই ফসল রোপণ করা হয়। ঠিক নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে (ধান, তুলা এবং সয়াবিন কাটার পরে) এবং উত্তরপ্রদেশে নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে এবং তার পরে বিহারে (আখ ও ধানের পরে) রোপন করা হয়।
আরও পড়ুন- মমতার হুঙ্কার, ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পাহাড়ে ‘ব্যাক-গিয়ার’ বিনয়-এডওয়ার্ডদের
কৃষিবিজ্ঞানীরা দেখছেন, যদি তাপের সমস্যা কমাতে হয়, তাহলে গমের বীজ বপন ২০ অক্টোবরের কাছাকাছি নিয়ে এলে সুবিধা পাওয়া যাবে। এর ফলে গম যখন পরিপূর্ণ হবে, তখন তা কঠোর তাপমাত্রার কোপে পড়বে না। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বেশিরভাগ খেতে শস্য ভরাট হয়ে যাবে। এপ্রিল অবধি আর অপেক্ষা করতে হবে না। মার্চের শেষেই ফসল আরামে কাটা যাবে। পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা জিন বদলানো তাপ সহনশীল গম উৎপাদনেও জোর দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে তেমন গম আইসিএআরের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন।