Advertisment

সিবিআইকে জেটলির পরামর্শ, ICICI মামলার তদন্তকারী আধিকারিক বদল!

আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক মামলায় বদলি করা দেওয়া হল তদন্তকারী আধিকারিককে। কোচর দম্পতিকে আটক করার পরই বদলির সিদ্ধান্ত। এ মামলায় সিবিআই এফআইআর নিয়ে সরব হয়েছিলেন অরুণ জেটলি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
arun jaitley, অরুণ জেটলি

অরুণ জেটলি। ফাইল ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক মামলায় নয়া মোড়। কোচর দম্পতিকে আটক করার পরই বদলি করে দেওয়া হল তদন্তকারী আধিকারিককে। শুধু তাই নয়, অরুণ জেটলির পরমার্শই যেন মেনে চলল সিবিআই। পেশাদারি তদন্ত ও তদন্ত করতে গিয়ে অ্যাডভেঞ্চার করা, এই দুইয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। কার্যত এভাবেই সিবিআইকে নিশানা করে আইসিআইসিআই মামলায় মুখ খুলেছিলেন অরুণ জেটলি। পাশাপাশি তদন্তকারীদের মহাভারতের অর্জুনের মতো লক্ষ্যে স্থির থাকার উপদেশও দিয়েছিলেন জেটলি।

Advertisment

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সুধাংশু ধর মিশ্রকে বদলি করা হয়েছে। দিল্লিতে সিবিআইয়ের ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড সিকিউরিটিজ ফ্রড সেলে ছিলেন সুধাংশু। গত ২২ জানুয়ারি চন্দা কোচরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। যে তদন্তে ছিলেন সুধাংশু। পরের দিনই রাঁচিতে সিবিআইয়ের ইকোনমিক অফেন্সেস শাখায় তাঁকে বদলি করা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন, কোচর দম্পতির নামে এফআইআর, সিবিআইকে নিশানা জেটলির

উল্লেখ্য, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক মামলায় সিবিআই এফআইআর নিয়ে সরব হন অরুণ জেটলি। শুক্রবার এ নিয়ে ব্লগে জেটলি লিখেছেন, তদন্ত করতে গিয়ে অ্যাডভেঞ্চার করা হচ্ছে, যার ফলে মূল ফোকাস হারাচ্ছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি। তদন্তে অ্যাডভেঞ্চারের কথা বলতে গিয়ে জেটলি বলেছেন, কোনও প্রমাণ ছাড়াই অনুমান ও আন্দাজের ভিত্তিতে যে কাউকে তদন্তে টেনে আনা হচ্ছে, অথচ তাঁদের সঙ্গে অপরাধের কোনও যোগসূত্র নেই। ওইসব ব্যক্তিদের হেনস্থা করতে, ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমনটা করা হচ্ছে। পরামর্শের সুরে তদন্তকারীদের উদ্দেশে জেটলি বলেছেন, ‘‘তদন্তকারীদের জন্য আমার পরামর্শ- মহাভারতের অর্জুনের উপদেশ মেনে চলুন- লক্ষ্যে স্থির থাকুন।’’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘জেটলি যুক্তিযুক্ত কথা বলেছেন। কোনও প্রমাণ ছাড়া অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে তদন্তে আনা ঠিক নয়। প্রমাণ ছাড়া কীভাবে কোনও শীর্ষ পদাধিকারীর নাম নিতে পারেন?’’ তবে ওই তদন্তকারী আধিকারিকের বদলির পিছনে সরকারের হাত নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আরেক সরকারি আধিকারিক বলেছেন, ‘‘এ মামলায় সরকারের কিছু করার নেই। এটা সিবিআইয়ের সিদ্ধান্ত।’’

অন্যদিকে, এ মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন জেটলি, এমন অভিযোগই তুলেছে কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ শর্মা বলেছেন, জেটলি যেভাবে মন্তব্য করেছেন, তাতে সিবিআইকে তিনি কার্যত ‘হুমকি’ দিয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলেছেন, ‘‘এনডিএ সরকারে কোনও মন্ত্রীই স্বাধীন নন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের চাপ বয়ে বেড়ান ওঁরা। আমি এ মামলা নিয়ে বলছি না...রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র যে করা হচ্ছে, তা পরিষ্কার।’’

এদিকে, জেটলির বক্তব্যকে অনেক সিবিআই আধিকারিকই সমর্থন জানিয়েছেন। অভিযুক্ত হিসেবে প্রমাণ ছাড়াই ব্যাঙ্কের শীর্ষ আধিকারিকদের নাম এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে বলে তোপ দেগেছেন জেটলি। সে প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর এনআর ওয়াসান বলেছেন, ‘‘নড়বড়ে ভাবে এফআইআর করা হয়েছে। অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে ওদের ফোকাস করা উচিত। এ ধরনের তদন্তের কখনও শেষ দেখা যাবে না।’’

এফআইআরে ব্যাঙ্কের শীর্ষ আধিকারিকদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘এটার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। যাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ থাকবে, তাঁদের নামই এফআইআরে রাখার রীতি সিবিআইয়ের। যাঁদের সন্দেহের চোখে দেখা হবে, তাঁদের ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত প্রক্রিয়ায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রমাণ মিললেই তাঁদের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়। যাঁরা অভিযুক্ত নন, তাঁদের নাম উল্লেখ করার কোনও যুক্তি নেই। জেটলি ভুল কিছু বলেননি।’’

Read the full story in English

cbi
Advertisment