আন্তর্জাতিক আদালতে বিশাল জয় পেল ভারত। কুলভূষণকে দূতাবাস সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পাকিস্তানকে বলা হয়েছে তাঁর মৃত্যুদণ্ড আপাতত স্থগিত রাখতে। একই সঙ্গে পাকিস্তানকে যাদবের শাস্তির সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের পক্ষে ছিলেন ১৫ জন। রায়ের বিরুদ্ধতা করেন একমাত্র পাকিস্তানের বিচারপতি।
৪৯ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত নৌ বাহিনীর অফিসার কুলভূষণ যাদবকে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে ২০১৭ সালে পাকিস্তানের মিলিটারি আদালত কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
কুলভূষণ যাদবের আত্মীয়রা আন্তর্জাতিক আদালতের রায় উদযাপন করছেন (ছবি- প্রশান্ত নাদকার)
ভারতের অভিযোগ, ব্যবসাসূত্রে ইরানে বসবাসকারী কুলভূষণকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বালোচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দেখানো হয়।
প্রতীক্ষা তখন (ছবি- প্রশান্ত নাদকার)
আইসিজে-র রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, "আন্তর্জাতিক আদালত পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়েছে কুলভূষণ যাদবকে দূতাবাস সুরক্ষা দিতে। এ ঘটনা নিঃসন্দেহে ভারতের পক্ষে বিশাল জয়।"
এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেসও।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম আইসিজে-র রায়ের প্রশংসা করে বলেছেন, এর ফলে মানবাধিকার ও ন্যায় ধারণা সুপ্রতিষ্ঠিত হল।
তবে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত কুলভূষণের মুক্তি ও তাঁকে নিরাপদে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে ভারতের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের মিলিটারি কোর্ট কূলভূষণকে অপরাধী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিল, তা খারিজ করার যে দাবি ভারত তুলেছিল- তাও নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন, কুলভূষণ যাদব নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত, সময়রেখা