রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্ত তাদের এক্তিয়ারভুক্ত বলে বৃহস্পতিবার জানাল আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত। মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে অভিযোগ জানিয়েছিল গাম্বিয়া। বলা হয়, রাষ্ট্রসংঘের ১৯৪৮ সালের কনভেনশন লঙ্ঘন করে মায়ামার রোহিঙ্গা গণহত্যা চালিয়েছে। সেই মামলারই শুনানি চলছে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত। যার প্রেক্ষিতে এদিন রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্ত নিজেদের এক্তিয়ারভূক্ত বলে জানায় আদালত।

গনহত্যা রুখতে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত এদিন মায়ানমারকে সব ধরনের পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়। কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানিয়ে আগামী চার মাসের ভেতর মায়ানমারকে একটি রিপোর্ট কোর্টের জমা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি এ এ ইউসুফ। তিনি বলেন, গাম্বিয়ার আনা অভিযোগের ভিত্তিতে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্ত করার এক্তিয়ার কোর্টের রয়েছে।’
গত মাসেই ১৭ বিচারকের প্যানেলে এই মামলার শুনানি চলে। তখন মামলাটি বাতিলের আবেদন করেছিলেন মায়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চি। ফিনান্সিয়াল টাইমস প্রকাশিত একটি রিপোর্টে সু চি ‘গণহত্যার’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যা হয়েছে তা ‘যুদ্ধাপরাধ’। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বক্তব্য অতিরঞ্জিত। এছাড়াও সু চির দাবি, ‘মায়ানমার মানবাধিকার গোষ্ঠী ও রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারীদের অসমর্থিত বয়ানের শিকার’।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা দম্পতিকে ভারত থেকে বিতাড়িত করা যাবে না, স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের
মায়ানমারে রোহিঙ্গা নারীদের গনধর্ষণ করা হয়েছে। তাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া সহ ছুরি দিয়ে রোহিঙ্গা শিশুদের হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গত ডিসেম্বরে অভিযোগ জানায় গাম্বিয়া। এর প্রেক্ষিতে দ্য হেগে মায়ানমারের অসামরিক শাসক সু চি, সম্পূর্ণ অভিযোগটিকে ‘বিভ্রান্তিকর এবং অসম্পূর্ণ’ বলে জানিয়েছিলেন।
Read the full story in English