করোনা পরীক্ষা-সমীক্ষায় এবার দরজায় দরজায় আইসিএমআর

স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে ভারতে মোট কোভিড-১৯ পজিটিভ ৭৪,২৮১ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ২৪১৫ জনের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে ভারতে মোট কোভিড-১৯ পজিটিভ ৭৪,২৮১ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ২৪১৫ জনের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রকোপ অনুমানে আইসিএমআরের তত্বাবধানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা শুরু হল। নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলায় প্রায় ২৪ হাজার প্রাপ্ত বয়স্কের উপর এই পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Advertisment

আইসিএমআরের গবেষক তরুণ ভাটনগর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে, 'নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দেশজুড়ে সংক্রমণের উপস্থিতি সন্ধানে প্রাপ্তবয়স্কদের একটি গৃহ-ভিত্তিক অনুসন্ধান। সংক্রমিত হওয়ার ১০-১৪ দিনের মাথায় ইমিওনোগ্লোবিউনিন অ্যান্টিবডি ক্ষরিত হয়। মূলত তার সন্ধানেই এই নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।' ইমিওনোগ্লোবিউনিন জি বা আইজিজি হল কমন অ্যান্টিবডি যা শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।

আরও পড়ুন- আরোগ্য সেতু অ্যাপের তথ্য কাদের কাছে যেতে পারে, সংশয় ও উদ্বেগ

মূলত ৬৯ জেলায় এই ধরনের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ৪০০ বাড়িকে ১০টি ক্লাসটারে ভাগ করে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে 'সেরো সার্ভে' মানে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পরীক্ষার দ্বারা কেই করোনা আক্রান্ত পজেটিভ তা যেমন ধরা পড়বে, তেমনই অ্যান্টিবড়ি টেস্টের পারদর্শিতাও বোঝা যাবে।

Advertisment

আরও পড়ুন- সম্পূর্ণ জেলা জোন হলে সমস্যা, রাজ্যের মতামত নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

আইসিএমআরের সর্বশেষ প্রকাশিত গবেষণা পত্রে উল্লেখ গত১৫ ফেবরুয়ারি থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে এমন ৫,৯১১ জনের ব়্যানডাম নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতেই ১০৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। শতাংশের বিচারে যা ১.৮ শতাংশ। ২০ রাজ্যের ৫২ জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। গবেষণা থেকেই স্পষ্ট যে ওই সময়কালে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে ভারতে মোট কোভিড-১৯ পজিটিভ ৭৪,২৮১ জন। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৪৭,৪৮০। করোনা সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪,৩৮৫ জন। করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৪১৫ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩,৫২৫ জন, মৃত ১২২।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

corona