Kanwar Yatra Row: কানওয়ার যাত্রা নিয়ে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কের আবহ। তার মাঝেই আজ সুপ্রিম কোর্টে জবাব দাখিল করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। কানওয়ার যাত্রাপথে দোকান মালিকদের নাম সাইন বোর্ডে বসার নির্দেশ ঘিরে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিতর্কিত এই নির্দেশ ঘিরে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সরকারকে নোটিশ পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সেই নোটিসের বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টে তার জবাব দাখিল করেছে।
উত্তর প্রদেশ সরকার তার উত্তরে বলেছে কানওয়াদিদের কাছ থেকে দোকানের নাম নিয়ে বিভ্রান্তির অভিযোগ করা হয়েছিল তার ভিত্তিতেই পুলিশ কর্মকর্তারা তীর্থযাত্রীদের উদ্বেগ দূর করতে এবং আইনশৃঙ্খলা সুষ্ঠ রাখতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা তার উত্তরে, উত্তর প্রদেশ সরকার বলেছে যে রাজ্য খাদ্য বিক্রেতাদের ব্যবসা বা ব্যবসার উপর কোন বিধিনিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি (আমিষ খাবার বিক্রির নিষেধাজ্ঞা ব্যতীত),সরকার বলেছে যে মালিকদের নাম এবং পরিচয় প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা কেবলমাত্র স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং কানওয়ারিয়াদের মধ্যে কোনও সম্ভাব্য বিভ্রান্তি এড়াতে একটি অতিরিক্ত ব্যবস্থা।
উত্তরপ্রদেশ সরকার, আদালতে জানিয়েছে যাত্রার রুটে দোকান মালিকদের নাম সাইনবোর্ডে লিখে রাখার বিষয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল তা কানওয়ার যাত্রার শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য শুধুমাত্র জনস্বার্থে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষা করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার বলেছে, 'আমাদের সংবিধানে অর্পিত ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে এটি ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে রক্ষা করে। সব ধর্মের উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয় তার জন্য রাষ্ট্র সবসময় পদক্ষেপ নেয়।’’
আরও পড়ুন - < Modi On Kargil Vijay Diwas: ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় নি পাকিস্তান’, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গর্জে উঠলেন মোদী >
উত্তর প্রদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে যে এই ধরনের ঘটনা আগেও সামনে এসেছে যেখানে খাবার নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে সরকারের তরফে এই ধরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২২ জুলাই, উত্তরপ্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিল।
সোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দ্বারা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এই পিটিশনগুলির ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করার সময়, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ বলেছিল যে তারা দোকানে আমিষ বা নিরামিষ খাবার রয়েছে তা উল্লেখ করতে পারে কিন্তু যাত্রার রুটে দোকান মালিকদের নাম সাইনবোর্ডে লেখা কোনভাবেই বাধ্যতামূলক হতে পারে না।