জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনার কনভয়ে হামলায় ঘটনায় যুক্ত দুই সন্দেহভাজন জঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদের নাম সাজ্জাদ এবং তৌসিফ। সোমবার সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে একটি এনকাউন্টারে তারা প্রাণ হারিয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল হাইওয়েতে সেনাবাহিনীর কনভয়ে আইইডি হামলায় ৪০জন জওয়ান মারা যান। জঙ্গীরা গাড়িভর্তি বিস্ফোরক-সহ সেনার কনভয়ে ঢুকে পড়ে ওই হামলা চালিয়েছিল। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সোমবারের বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়া দুই জঙ্গীর মধ্যে একজনের নাম সাজ্জাদ, সে পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী ছিল। তৌসিফ ছিল সাজ্জাদের সহযোগী।
প্রসঙ্গত, সোমবারই ফের পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর উপর আইইডি-সহ হামলা চালিয়েছে জঙ্গীরা। তবে ক্ষয়ক্ষতি প্রায় কিছুই হয়নি। সেনার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় একটি টহলদারি ইউনিটের উপর গাড়িভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে হামলা করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসবাদীরা। বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর ৬ জওয়ান এবং ২ স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। আহত জওয়ানদের অবস্থা স্থিতিশীল। স্থানীয় দু-জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সেনার মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে গাড়িটিতে হামলা হয়, সেটির চালকের আঘাত গুরুতর। তাঁকে স্পেশালিস্ট কেয়ারে রাখা হয়েছে। তাঁর কথায়, "গাড়ির চালকের তৎপরতায় ক্ষয়ক্ষতি কার্যত এড়ানো গিয়েছে। তদন্ত চলছে। বাকি আপডেট পরে জানানো হবে।"
সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, পুলওয়ামা জেলার আরিহাল গ্রামের দিকে যখন যখন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ৪৪ জন জওয়ান যাচ্ছিলেন, তখনই হামলা হয়। তবে কার্যত কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় একে ব্যর্থ হামলা বলে দাবি করা হয়েছে সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে। আপাতত সেনা গোটা এলাকা কর্ডন করে রেখেছে। তল্লাশি শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে ভারতকে জানানো হয়েছিল, অবন্তীপুরায় হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। সেনার এক আধিকারিকের কথায়, পাকিস্তান ইসলামাবাদে আমাদের দূতাবাসকে জানিয়েছিল গাড়িভর্তি আইইডি নিয়ে এই ধরনের বিস্ফোরণ হতে পারে। পাক গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে মার্কিনদেরও এই হামলার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছিল। আমরা একইসঙ্গে পাকিস্তানি এবং আমেরিকানদের কাছ থেকে খবরটি পেয়েছিলাম।