এবার পঞ্জাবের অমৃতসরে টিফিন বক্সে মিলল আইইডি। একইসঙ্গে মিলেছে পাঁচটি হ্যান্ড গ্রেনেড। অমৃতসরে এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ওই বিস্ফোরক ভারতে পাঠানো হয়েছে বলে অনুমান পঞ্জাব পুলিশের। খোদ পঞ্জাব পুলিশের শীর্ষ কর্তা এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে স্থানীয় কারও মদত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই বিস্ফোরণে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত গোয়েন্দারা। গত কয়েকমাসে জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় সন্দেহভাজন ড্রোনের হদিশ মিলেছে। ড্রোনের মাধ্যমে ভারতীয় ভূখণ্ডে নাশকতার ছক কষেছে জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন- কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু, নিম্নমুখী সক্রিয় রোগীর হারও
তবে জঙ্গিদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে সচেষ্ট ভারতীয় সেনাবাহিনী। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে ড্রোনের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এর আগে ২২ জুলাই জম্মুর আখনুরে একটি সন্দেহভাজন ড্রোন গুলি করে নামায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই ড্রোনটিতেও বিস্ফোরক পাঠানো হয়েছিল। পাঁচ কেজি আইইডি ছিল ওই ড্রোনে। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তইবার যোগ ছিল সেই ঘটনায়।
এবার পঞ্জাবের অমৃতসরে মিলেছে টিফিন-বক্স ভর্তি বিস্ফোরক। রবিবার অমৃতসরের দলেকে গ্রামে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। সেই ব্যাগের মধ্যে থাকা টিফিন বক্সেই ছিল বিস্ফোরক। পঞ্জাবের ডিজিপি দীনকর গুপ্ত জানিযেছেন, একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যাগে থাকা বাচ্চাদের একটি টিফিন বক্সে আইইডি মিলেছে। এছাড়াও ব্যাগে মিলেছে পাঁচটি হ্যান্ড গ্রেনেড। সম্ভবত পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যে ওই বিস্ফোরক পাঠানো হয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন