'গোলি মারো'। ঠিক এক বছর আগে তাঁর উস্কানিমূলক এই মন্তব্যেই দেশজুড়ে তোলপাড় হয়। যদিও সেই ঘটনা নিয়ে কোনও আফসোস নেই 'গোলি মারো' স্লোগান খ্যাত বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের। স্পষ্ট বলেছেন, 'প্রয়োজন পড়লে আবারও করব।'
দিল্লি হিংসার বর্ষপূর্তি দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কনস্টিটিউশন ক্লাবে 'Delhi Riots:The Untold Story' নামক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র বলেছেন, 'সেদিন যা করেছি তা নিয়ে আমার কোনও অনুতাপ নেই। শুধু আফসোস যে আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মা এবং কনস্টেবল রতন লালকে আমরা বাঁচাতে পারিনি।'
এরপরই কপিল জোর গলায় দাবি করেন, 'এক বছর হয়ে গেল, তাই আবারও বলতে চাই…গত বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি যা করেছি প্রয়োজন পড়লে ফের একবার একই কাজ করব।'
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ। এর প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজধানী দিল্লি। হিংসা ছড়িয়ে পড়ে দিল্লির পূর্বপ্রান্তে। সেই হিংসায় আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মা ও কনস্টেবল রতন লাল সহ মৃত্যু হয়েছিল ৫৩ জনের। একদিকে যখন সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ চললছে তখন নয়া আইনের সমর্থনে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ব়্যালি বার করে বিজেপি। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। রাস্তায় ধর্নায় বসা সিএএ প্রতিবাদীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে শাসাতে দেখা যায় কপিলকে। এক টুইট ভিডিওতে দেখা যায়, মৌজপুর ট্রাফিক সিন্যালের কাছে দাঁড়িয়ে ডিসিপি বেদ প্রকাশের সূর্যকে এই হুমকি দেন কপিল মিশ্র। তাঁর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক 'গোলি মারো' স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর দিনই পূর্ব দিল্লিতে হিংসা ছড়ায়। এই হিংসার জন্য কপিল মিশ্রের ওই বিতর্কিত স্লোগানকেই দায়ি করা হয়।
ভারত বিদ্বেষী, জিহাদি শক্তির বিরুদ্ধে তোপ দেগে এদিন কপিল মিশ্র বলেন, 'এক বছর আগে যে জিহাদি শক্তি সিএএ নিয়ে অশান্তি ছড়িয়েছিল সেই একই পথে ২৬ জানুয়ারিও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে লালকেল্লা সহ রাজধানীর রাজপথে। দেশের শান্তি নষ্ট করতে চলছে বিরাট ষড়যন্ত্র। ভারত বিদ্বেষী, জিহাদি শক্তিগুলো টাকা ঢালছে তাতে। প্রতিবাদ-অবস্থানকে দাঙ্গার রূপ দেওয়ায় পরিচিত প্যার্টানই বারবার ঘুরে ফিরে আসছে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন