Advertisment

সুপ্রিম কোর্ট সব দেখলে, লোকসভা-রাজ্যসভা কেন আছে, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

চার বছর আগে, ২০১৮-র ৩১ জানুয়ারি, শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদন দুই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর আবেদনের সঙ্গে জুড়ে দিতে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CJI

প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না।

একবছরের মধ্যে সব বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সরকার চিহ্নিত করুক, ধরুক আর ফেরত পাঠিয়ে দিক। কেন্দ্রীয় সরকারকে এমনই নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। এমনই আবেদন জুড়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। এমনিতেই হাজারো মামলা ঝুলে। ফাইলের পর ফাইল এত স্তূপ হয়ে গিয়েছে, কোন মামলা কবে শেষ হবে, তা অনেকেই জানেন না। তার মধ্যে এসব অবাস্তব আবেদন নিয়ে আদালতে হাজির। স্পষ্টতই বিরক্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না তখনই শুধরিয়ে দিতে চাইলেন আইনজীবীকে। তাঁর পালটা প্রশ্ন, 'আমি আপনার আবেদনগুলো যদি গ্রহণ করি আর নির্দেশ দিই, তবে রাজনৈতিক দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজটা কী? লোকসভা, রাজ্যসভা কী করতে আছে? আদালত কি তাহলে এখন বিলও পাশ করবে?'

Advertisment

চার বছর আগে, ২০১৮-র ৩১ জানুয়ারি, শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদন দুই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর আবেদনের সঙ্গে জুড়ে দিতে। সেই নির্দেশের কপি কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়ার কথাও আদালত জানিয়েছিল। যে দুই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর কথা বলা হচ্ছে, তারা এই ঘটনারও একবছর আগে ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সব রাজ্য আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদেরকে লেখা চিঠিতে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে দুই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু জম্মুতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ফেরত না-পাঠানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু, সেই আবেদন গত বছর, ২০২১ সালের ৮ এপ্রিলই খারিজ করে দেয় আদালত।

আরও পড়ুন- রাশিয়ার পরিণতি হওয়া থেকে ভারতকে বাঁচাল আদালত, অ্যামনেস্টি প্রধানকে বিদেশযাত্রার অনুমতি

তারপর ২০২১-এর ২৬ মার্চ, আইনজীবী উপাধ্যায়ের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র এবং সব রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছিল। তারপর আর তাঁর আবেদন নথিভুক্ত হয়নি, এই কারণে অশ্বিনী উপাধ্যায় বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির কাছে দ্রুত তাঁর আবেদন শোনার আর্জি জানান। আইনজীবী উপাধ্যায়ের বক্তব্য, ,'পাঁচ কোটি বেআইনি অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়দের জীবন-জীবিকার অধিকার হরণ করছে।' ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি পালটা বলেন, 'মিস্টার উপাধ্যায়, প্রতিদিন আমি কেবলমাত্র আপনার মামলা শুনব। সূর্যের নীচে যাবতীয় সমস্যা, সংসদ সদস্যদের বিষয়, মনোনয়নের বিষয়, নির্বাচনী সংস্কার, ইত্যাদি। এই সব রাজনৈতিক বিষয় সরকারের কাছে নিয়ে যাওয়ার বদলে আদালতের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে।'

Read story in English

Advertisment