শেষবারের মতো যুদ্ধ বিমানে সওয়ার বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়া। আর তাঁর সঙ্গী উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। বালাকোট এয়ারস্টাইকের প্রায় মাস ছয়েক পর এদনই ফের ককপিটে বসলেন অভিনন্দন। প্রায় আধ ঘন্টা আকাশে ছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবারই অবসর গ্রহণ করবেন বি এস ধানোয়া। তাই পেশাদার জীবনের শেষ সফরে অত্যন্ত খু্শি এবং আবেগপ্রবণ বায়ু সেনা প্রধান। তিনি বলেন, ‘উইং কমান্ডার বর্তমান ফের মিগ-২১-এর চালকের আসনে। প্রতিটি চালকই এই সুযোগের জন্য মুখিয়ে থাকেন। তাই আমার কাছে এই সফর অত্যন্ত খুশির।’
আরও পড়ুন- আসাম এনআরসি-তে বহু খাঁটি ভারতীয়ের নাম বাদ, ফুঁসছেন সব দলের বিধায়করা
অভিনন্দন বর্তমানের ‘কামব্যাক’ প্রসঙ্গে এদিন নিজের উদাহরণও তুলে ধরেন ধানোয়া। তাঁর কথায়, ‘১৯৮৮ সালে আমাকেও বেশ কয়েক মাসের জন্য যুদ্ধ বিমান চালানো থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৯ মাস পর আমি সুযোগ পাই আবার ককপিটে বসার। কিন্তু, বর্তমানের ক্ষেত্রে সুযোগ এসেছে মাত্র ৬ মাসেই।’ মঙ্গলবার পাঠানকোট এয়ারবেস থেকে ওড়ে মিগ-২১ বিমানটি।
অভিনন্দন বর্তমান। বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারতীয় বায়ু সেনার এই উইং কমান্ডারই মিগ-২১ বিমান নিয়ে পাক যুদ্ধ বিমান এফ-১৬কে তাড়া করেছিলেন। এরপর অবশ্য ভারতীয় যুদ্ধ বিমানটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পড়ে যায়। তাঁকে আটক করে পাক সেনাবাহিনী। পরে প্রবল আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার মুখে বর্তমানকে ছেড়ে দেয় ইসলামাবাদ। এই ঘটনার সময় থেকেই অভিনন্দন বর্তমান তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন দেশে। বায়ু সেনা প্রধান এদিন তাঁর সঙ্গে বর্তমানের সাদৃশ্যের দিকগুলিও তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন- কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মিঁয়াদাদের, দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও
বিএস ধানোয়া সোমবার বলেন, ‘আমার সঙ্গে অভিনন্দন বর্তমানের দু’টি মিল রয়েছে। তা হল, যুদ্ধবিমান চালনা থেকে বাদ যাওয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করা। আমি কার্গিল যুদ্ধে লড়াই করেছি। আর ও (অভিনন্দন বর্তমান) লড়েছে বালাকোটের পর।’ উইং কমান্ডার বর্তমানের বাবাও বায়ু সেনায় কর্মরত ছিলেন। বাহিনীর একটি স্কোয়াড্রনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে তাঁর সঙ্গেই কাজ করেছেন বায়ু সেনার বর্তমান প্রধান বিএস ধানোয়া। প্রাক্তন সহকর্মীর ছেলের সঙ্গে শেষবারের মতো যুদ্ধ বিমানে সওয়ার হওয়া সব সময়েই আনন্দের বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, অভিনন্দন বর্তমানের কৃতিত্বের জন্য তাঁকে স্বাধীনতা দিবসের দিন বীরচক্র সম্মানে ভূষিত করা হয়। এটি ভারতের তৃতীয় সামরিক সম্মান।
Read the full story in English