'মহাত্মা পাকিস্তানের পিতা' বলে বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত অধ্যাপককেই আইআইএমসিতে নিয়োগ

বাপুজি সম্পর্কে অশালীন শব্দ প্রয়োগকারী অনিল কুমার সৌমিত্রকে দেশের অন্যতম আগ্রগণ্য জনসংযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএমসি-র অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

বাপুজি সম্পর্কে অশালীন শব্দ প্রয়োগকারী অনিল কুমার সৌমিত্রকে দেশের অন্যতম আগ্রগণ্য জনসংযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএমসি-র অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অনিল কুমার সৌমিত্র

'পাকিস্তানের পিতা মহাত্মা গান্ধী।' সোশাল মিডিয়ায় এই পোস্ট করে গত বছর হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মিডিয়া সেলের প্রধান অধ্যাপক অনিল কুমার সৌমিত্র। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়ে কেন্দ্রীয় শাসক দলের। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু, বহিষ্কৃত সেই অনিলকেই এবার দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত করা হল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

Advertisment

বাপুজি সম্পর্কে অশালীন শব্দ প্রয়োগকারী অনিল কুমার সৌমিত্রকে দেশের অন্যতম আগ্রগণ্য জনসংযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএমসি-র অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

ফেসবুকে সৌমিত্র লিখেছিলেন, 'উনি (মগাত্মা গান্ধী) দেশের পিতা, কিন্তু পাকিস্তানের। তাঁর মত কোটি কোটি সন্তান ভারতের রয়েছে। কিছু যোগ্য, কিছু অযোগ্য।' এরপরই বিতর্ক তৈরি হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে বিজেপি দল থেকে বহিষ্কার করে ওই অধ্যাপককে। সেই সময় পদ্ম শিবিরের তরফে বলা হয়েছিল, অনিল সৌমিত্রর পোস্ট দলের মূল ভাবনা, নীতির পরিপন্থী। ওই পোস্ট দলের ভাবমূর্তিতে আঘাত করেছে।

সেই প্রথম নয়, ২০১৩ সালেও বিজেপি বিরোধী পোস্ট করায় অনিল সোমিত্রকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশে দলের মুখপত্র চরৈবেতিতে অনিল 'চার্চের নরকে নানের জীবন' শীর্ষক একটি কলাম লিখেছিলেন। ক্যাথলিতক চার্চে কিভাবে নানেদের যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় তা নিয়েই সরব ছিলেন ওই অধ্যাপক। যা দল ভালভাবে নেয়নি। চরৈবেতির সম্পাদক পদ থেকে সরানো হয় অনিল সৌমিত্রকে। এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তিনি। 'অপরাধীর মত ব্যবহার করা হল' বলে তোপ দাগেন অধ্যাপক। চিঠি দিয়ে নিজের ক্ষোভের কথা আরএসএস প্রধান মোহন ভগবৎ, সুরেশ যোশী, সুরেশ সোনি, লালকৃষ্ণ আডবানি, রাজনাথ সিংকে জানিয়েছিলেন।

Advertisment

এহেন বিতর্কিত অনিল সৌমিত্রকে গত ২৬ অক্টোবর কেন্দ্র পরিচালিত আইআইএমসি-র অধ্যাপক পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। বহিষ্কৃত অনিলকে কেন আবার দেশের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক পদে নিয়োগ করা হল? ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে অনিল সৌমিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি প্রতিক্রিয়া দেননি। মন্তব্য করতে নারাজ আইআইএমসি-র ডিরেক্টার জেনারেল সঞ্জয় দ্বিবেদীও।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp modi