Parliament Monsoon Session: ভারতে অবৈধ নজরদারি সম্ভব নয়। পেগাসাস-কাণ্ডে সংসদে এভাবেই সরব হলেন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।সোমবার সকাল থেকেই এই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু এদিন লোকসভায় বলতে উঠে মন্ত্রীর দাবি, ‘এই ঘটনা ভারতীয় গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বদনাম করার উদ্দেশ্য।‘
সংসদে তিনি বলেন, ‘রবিবার রাতে এক ওয়েব পোর্টাল চমকপ্রদ একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। একাধিক অভিযোগ সেই প্রতিবেদনে তোলা হয়েছে। এই প্রতিবেদন সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক একদিন আগে প্রকাশিত। মোটেও কাকতালীয় নয় ব্যাপার নয়। এর আগেও হোয়াটসঅ্যাপের নথি চুরিতে পেগাসাসের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনের কোনও ভিত্তি ছিল না এবং সবপক্ষই সেই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছিল। ১৮ জুলাই, ২০২১-এর এই প্রেস বিবৃতিও ভারতের গণতন্ত্র এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বদনাম করার চক্রান্ত।‘
তথ্য-প্রযুক্তি আইনে ইলেক্ট্রনিক নজরদারি কীভাবে সম্ভব? সেই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বৈধ নজরদারি আবেদন ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইন ১৮৮৫-এর ৫ ধারার ২ উপধারা মেনে করতে হয়। পাশাপাশি আইটি অ্যাক্ট ২০০০-এর ৬৯ ধারা মোতাবেক এই আবেদন করতে হয়। এর বাইরে কোনও ধরণের অবৈধ নজরদারি এদেশে সম্ভব নয়। এদিকে, আঁচ মিলেছিল আগেই। বাস্তবেও হল তাই। অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় লোকসভায় চেঁচামিচি জুড়েদেন বিরোধী দলের সাংসদরা। ফলে নতুন মন্ত্রী ও সাংসদদের সঙ্গে পরিচয়পর্বে ব্যাঘাত ঘটে। অধ্যক্ষের নিষেধ সত্ত্বেও থামেননি বিরোধী সাংসদরা। এর জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। কিন্তু অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের উদ্দেশ্য কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যা আদতে লোক দেখানো বলেই মত বিরোধীদের। পরে লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের প্রতি কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘সব দলের সকল সাংসদকে বলতে চাই যে কঠিন ও তীক্ষ্ণ প্রশ্ন করুন, কিন্তু সরকারপক্ষকে কোভিড আবহে সেসব প্রশ্নের উত্তর শান্তিপূর্ণভাবে দেওয়ার সুযোগ দেবেন। অযথা হট্টগোল করবেন না। এতেই গণতন্ত্র সমৃদ্ধ হবে। উন্নয়নের প্রতি দেশবাসীর আশা ও আস্থা পোক্ত হবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন