/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/Yogi-Adityanath.jpg)
যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল ছবি
২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের সাক্ষীর চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে তোলপাড়। তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্র এটিএস (সন্ত্রাস দমন শাখা) সেইসময় পাঁচ জন আরএসএস নেতার নাম নেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। সেই তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথেরও নাম ছিল।
সম্প্রতি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ সাক্ষীকে বয়ান পাল্টানোর জন্য মামলা দায়ের করার আবেদন করেছে। এই সাক্ষী এই ট্রায়ালের ২২০তম ব্যক্তি যাঁকে জেরা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে এবং ১৫তম যাঁকে বয়ান পাল্টানোর জন্য বাদ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে এই সাক্ষীর পাঁচ পাতার বয়ান আদালতে জমা দিয়েছিল মহারাষ্ট্র এটিএস। মঙ্গলবার সাক্ষী আদালতে জানান, এটিএস তাঁর বয়ান রেকর্ড করেনি। তিনি বলেছেন, মঙ্গলবার সকালেই তিনি জানতে পারেন তাঁর নাম করে রেকর্ড করা বয়ান জমা দিয়েছে এটিএস। কিন্তু সেই বয়ানে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করা ছিল না।
সাক্ষী আদালতে জানিয়েছেন, তিনি অভিনব ভারতের সাত ট্রাস্টির একজন। কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, অজয় রাহিরকর-সহ সাতজন ট্রাস্টির নাম অভিযুক্ত হিসাবে এই মামলায় দেখানো হয়। ২০০৬ সালে এই সংগঠন গঠিত হয়। এটিএস এবং এনআইএ আদালতে জানায়, ২০০৮ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর মালেগাঁওতে বিস্ফোরণে যুক্ত ছিল এই ট্রাস্ট। সেই ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ১০০-রও বেশি জখম হন। সাক্ষী অবশ্য আদালতে দাবি করেছেন, এই ট্রাস্ট যুবসমাজকে ডিফেন্স ফোর্সে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রশিক্ষণ দেয়।
আরও পড়ুন লুধিয়ানা বিস্ফোরণ কাণ্ড: জার্মানিতে ধৃত মূল অভিযুক্ত, মিলেছে খালিস্তানি যোগ
তিনি আরও দাবি করেন, বিস্ফোরণের তদন্তের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠায় এটিএস। প্রথমে সাতদিনের জন্য তাঁকে আটক করা হয়। মেঝেতে বসিয়ে তাঁর সঙ্গে অপরাধীর মতো ব্যবহার করা হয়। এর পর দেড় মাস ধরে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ক্রমাগত নিগ্রহ করা হয়।
তাঁর সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি, এটিএস আধিকারিকরা তাঁকে পাঁচজন আরএসএস নেতার নাম নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কর্নেল পুরোহিতের আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে পাঁচজনের নাম জানান সাক্ষী। সেই পাঁচজন ছিলেন, যোগী আদিত্যনাথ, অসীমানন্দ, ইন্দ্রেশ কুমার, দেওধর নামে এক অধ্যাপক এবং একজন কাকাজি নামের ব্যক্তি।