Advertisment

রাজস্থানে চিকিৎসকের মৃত্যুতে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের

সংগঠনের তরফে সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত হাসপাতালগুলিতে বর্হিবিভাগে কর্মবিরতিরও ডাক দেওয়া হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাজস্থানে চিকিৎসকের মৃত্যুতে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের।

রাজস্থানে চিকিৎসকের মৃত্যুতে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের। সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে জানান হয়েছে "আমাদের দাবি দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের গ্রেফতার করতে হবে এবং ডঃ অর্চনা শর্মার পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে"।

Advertisment

একই সঙ্গে সংগঠনের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এই মর্মে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি স্মারক লিপিও দেওয়া হবে বলেও জানান হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান হবে বলেও আইএমএ সূত্রে খবর।

সেই সঙ্গে সংগঠনের তরফে সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত হাসপাতালগুলিতে বর্হিবিভাগে কর্মবিরতিরও ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, “রাজস্থানের চিকিৎসক অর্চনা শর্মার দুঃসহ মৃত্যু, গোটা দেশের চিকিৎসক সমাজকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে"। রাজস্থানে ডাঃ অর্চনা শর্মাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক সহ দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় ২২ বছরের আশা বাইরওয়ার। দাউসার লালসটের আনন্দ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এই মৃত্যুর জন্য ওই তরুণীর স্বামী ও আত্মীয়রা চিকিৎসক অর্চনা শর্মাকে দায়ী করেন।

মৃতদেহ নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। অর্চনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি ওঠে। মৃতার আত্মীয়দের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে মাঠে নামেন স্থানীয় বিজেপি নেতারাও। এরপরই গত মঙ্গলবার আত্মহত্যা করেন ডা. শর্মা। সঙ্গে একটি সুইসাইড নোটও লিখে যান তিনি।

আরো পড়ুন: অপরাধীদের আত্মসমর্পণে ‘চাপ’, বাড়ি ভাঙতে বুলডোজার পাঠাল যোগীর পুলিশ

পুলিশের দাবি, সেই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, “আমি আমার স্বামী এবং বাচ্চাদের ভীষণ ভালোবাসি। আমার মৃত্যুর পর দয়া করে ওঁদের কেউ বিরক্ত করবেন না। আমি কোনও ভুল কাজ করিনি এবং কাউকে খুন করিনি। ময়নাতদন্তেই স্পষ্ট ওই মহিলার কিছু গুরুতর সমস্যা ছিল। এভাবে চিকিৎসকদের হেনস্থা করা বন্ধ করুন। আমার মৃত্যুই হয়তো আমার নিরপরাধ হওয়ার প্রমাণ দেবে। দয়া করে নিরপরাধ চিকিৎসকদের হেনস্থা করা বন্ধ করুন”। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।

এব্যাপারে তাঁর স্বামী ডা. সুনীত উপাধ্যায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে দাবি করেন, ‘স্থানীয় এক বিজেপি নেতার মদতেই পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে তাকে এবং তার স্ত্রীকে’। এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি দাউসার পুলিশ সুপার অনিল কুমারকে সাসপেন্ড করা হয়, এবং সেই সঙ্গে এই মৃত্যু নিয়ে এক টুইট বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।

Read in English

IMA
Advertisment