দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং লাগোয়া আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি আজ ২০ মার্চ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেটা হলে সোমবার উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে 'অশনি'। ঘূর্ণিঝড়ের এই নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)-এর তথ্য অনুযায়ী, সিস্টেমটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তর মায়ানমার এবং দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি আগামী ২২ মার্চ পৌঁছোতে পারে। আইএমডি আন্দামানের কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিচ্ছিন্নভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে আইএমডির অধিকর্তা ডাঃ মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, "উত্তর ভারত মহাসাগরে মার্চ মাসে ঘূর্ণিঝড় কম হতে পারে, তবে বিরল নয়। মার্চ মাসে আমরা বেশ তীব্র সিস্টেম পাই না। তবে এই ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৭০-৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা হতে পারে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে মঙ্গলবার পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র থাকবে উত্তাল। সমুদ্র পাড়ে ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৬৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের কাছাকাছি এই ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। মৎস্যজীবীদের মঙ্গলবার পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তথ্য বলছে, ১৮৯১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মার্চ মাসে মাত্র আটটি ঘূর্ণিঝড় এসেছে।
আরও পড়ুন- লাদাখ জট না কাটলে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মসৃণ নয়, জাপানকে জানাল ভারত
এবছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এরাজ্যে কতটা পড়তে পারে তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ জারি ছিল। তবে এক্ষেত্রে আপাতত মিলেছে স্বস্তি। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের মূল ভূখণ্ডে প্রভাব ফেলবে না। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমারের দিকেই যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে যাবে। আজ ২০ মার্চ ও আগমিকাল ২১ মার্চ এর প্রভাবে দীপাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
Read story in English