চলতি বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ঘটতে পারে ৮.২ শতাংশ। এমনটাই অনুমান করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার বা আইএমএফ। এই বৃদ্ধি মোটামুটি স্তরের। তবে, বর্তমানে বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতির যা হাল, এটুকুতেই ভারত সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির স্বীকৃতি পাচ্ছে। অন্তত, আইএমএফের বিচারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের কর্তাদের মতে, চিনের আর্থিক বৃদ্ধি চলতি বছর ভারতের অর্ধেক হয়েই পথচলা শেষ করবে। চিনের আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে ৪.৪ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার তার বার্ষিক রিপোর্টে জানাচ্ছে, বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি চলতি বছরে থাকবে ৩.৬ শতাংশ। যা, ২০২১ সালের তুলনায় কম। ২০২১ সালে এই বৃদ্ধি ছিল ৬.১ শতাংশ। গোটা বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি কমে যাওয়ার ফল ফলতে চলেছে ভারতেও। গত বছর এই সময় যে আর্থিক বৃদ্ধির হার অনুমান করা হয়েছিল, সেটা ধরলে আরও ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি ভারতের হত।
২০২১ সালে, ভারত আর্থিক বৃদ্ধির হার ধরা হচ্ছিল ৮.৯ শতাংশ। সেটা তো এই বছরই কমতে চলেছে। আগামী বছর আবার, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি আরও কমবে বলেই আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। সংস্থার বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ২০২৩ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকবে ৬.৯ শতাংশ। এর কারণও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। রাশিয়ায় ইউক্রেনে হামলার জেরে ভারতের আমদানি খরচ বাড়বে। যার প্রতিফলন ঘটবে দেশের বাজারে। আর, সেটাই আর্থিক বৃদ্ধির হারকে কমিয়ে দেবে বলেই মনে করছেন আইএমএফ কর্তারা।
আরও পড়ুন- অপব্যবহারের আশঙ্কার মধ্যেই বন্দিদের শারীরিক-জৈবিক নমুনা সংগ্রহ বিলে সায় রাষ্ট্রপতির
তবে, শুধু ভারত না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার আগেই জানিয়েছে যে গোটা বিশ্বেরই আর্থিক বৃদ্ধি কমবে। তাই, আর্থিক বৃদ্ধি কমার দলে প্রায় সকলেই আছে। জাপানেই যেমন চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমবে ০.৯ শতাংশ। কারণটা সেই একই, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিশ্বে পেট্রোপণ্যের খরচ বৃদ্ধি। এর ফলে গোটা বিশ্বেই কার্যত জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। যা আগামী দিনে আরও বাড়তে চলেছে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read story in English