ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে। কারণ, ইউক্রেন থেকে তেল আমদানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর, রাশিয়ার ওপর জারি হয়েছে হাজারো নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রথমসারির দেশগুলো। অন্য দেশগুলোও যাতে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক চালাতে না-পারে, সেই ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় প্রথমদিকেই আছে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের বন্ধু ভারত।
কখনও হুঁশিয়ারি, কখনও আবার বোঝানো, সাহায্যের টোপ- সবই দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু, মোদী সরকার মার্কিন কর্তাদের চাপের কাছে মাথা নোয়ায়নি। উলটে, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশীয় বাজারে শুল্কের পরিমাণ কমিয়েছে। যার জেরে দেশীয় বাজারে কমেছে পেট্রোপণ্যের দাম।
আরও পড়ুন- অসমে প্রাক-বর্ষায় নজিরবিহীন ধ্বংসের নেপথ্যে কী?
মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়ও ভারতের স্বাধীন বিদেশনীতির প্রশংসা করেছেন। ইমরান বারবার অভিযোগ করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপেই তাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে হয়েছে। কারণ, তিনি ওয়াশিংটনের কাছে ' জো হুজুর' মার্কা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। নয়াদিল্লির উদাহরণ টেনে ইমরান সেই সময় বলেছিলেন যে তিনি আসলে ভারতের মত বিদেশনীতি চান। যে বিদেশনীতি হবে স্বাধীন।
প্রধানমন্ত্রী পদ তাঁকে হারাতে হয়েছে। কিন্তু, স্বাধীন বিদেশনীতির অবস্থান থেকে যে তিনি একচুলও সরতে চান না, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন ইমরান। আর, এক্ষেত্রেও তিনি যে ভারতকেই মডেল করছেন, তা-ও নয়াদিল্লির প্রশংসা করে ফের বোঝানোর চেষ্টা করলেন। ইমরান টুইট করেছেন, 'কোয়াডের অংশ হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন চাপ সহ্য করে ভারত নিজেদের দেশের জনগণের জন্য রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনেছে। আমাদের সরকারও এরকমই একটি স্বাধীন বিদেশনীতি গ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছিল।' আগামী দিন তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তানে ফের সরকার গঠন হলে তিনি যে এমন স্বাধীন বিদেশনীতিই চাইবেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইমরান।
Read full story in English