দেশের সাধারণ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে বুধবার তোষাখানা মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে পাক আদালত। সাজা ঘোষণার পর ইমরানের স্ত্রী পুশরা বিবি আদিয়ালা কারাগারে পৌঁছেছেন। তিনি জেল প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
আগামী মাসের ৮ তারিখে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। ইমরান খান কোনো নির্বাচনী প্রতীক ছাড়াই নির্বাচনে লড়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবারই সাইফার মামলায় সাজা ঘোষণার মাত্র একদিন পর ইমরান খান ও তার স্ত্রীর শাস্তির সিদ্ধান্ত এল।
একদিন আগে ইমরান খান এবং তার সরকারের মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ইমরান খান এবং মাহমুদ কুরেশিকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ইমরান কুরেশির বিরুদ্ধে দেশের গোপনীয়তা সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ রয়েছে।
তোষাখানার যে মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে সেই রায়ে বলা হয়েছে আগামী ১০ বছর বুশরা ও ইমরান খান কোনও সরকারি পদে বসতে পারবেন না। পাশাপাশি দুজনকে পাক মুদ্রায় ৭৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারেই তার বিচার সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন : <Atin Ghosh: মাতৃহারা কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু>
শাস্তির কারণে তার নির্বাচনে লড়ার পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকে সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। রায় ঘোষণার পর ইমরান খান বলেন, যে বিচার দ্রুত প্রক্রিয়া দেখায় যে "ম্যাচ ইতিমধ্যেই নির্ধারিত হয়েছে"।