কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক এখন রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কর্ণাটক সরকারের সাফ নির্দেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম পরেই আসতে হবে। ধর্মীয় পোশাক পরা চলবে না। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, গত ২০১২ সালের ৪ জুলাই কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয় মন্ত্রক দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির জন্য নয়া ইউনিফর্ম পদ্ধতি চালু করেছিল।
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের জন্য সাবেক মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক তথা বর্তমানে শিক্ষামন্ত্রক ১৯৬৩ সালের পর প্রথমবার ড্রেস কোড বদলায়। সেই বদলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল হেডস্কার্ফ এবং পাগড়ি নিয়ে নির্দেশিকা। মুসলিম ছাত্রীদের জন্য নিয়ম করা হয়, ইউনিফর্মের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে মাথা ঢাকার কাপড়, তাতে লাল সুতো দিয়ে বর্ডার করা। ২০১২ সালের ১৮ মে কেভিএস বোর্ড অফ গভর্নরের ৯২তম বৈঠকে এই বদল অনুমোদিত হয়।
তখন সাবেক মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক পিআইবি মারফত একটি বিবৃতি জারি করে জানায়, পড়ুয়াদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং তাঁদের পরিচয়ের কথা ভেবে ইউনিফর্মে একটু অন্যরকম বদলের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্যই চেক ইউনিফর্ম আনা হয়। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সালোয়ারের বদলে ট্রাউজার আনা হয়।
আরও পড়ুন হিজাব পরে ক্লাসে নয়, কর্ণাটকে বহু স্কুলে ছাত্রীদের কড়া নির্দেশ
সেইসময় কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রক এবং এনআইএফটি যৌথ উদ্যোগে সেই ইউনিফর্ম তৈরি করে। প্রায় ১৪.৩৫ লক্ষ পড়ুয়া, তার মধ্যে ৬.৫৫ লক্ষ ছাত্রী এবং ৭.৭৯ লক্ষ ছাত্র দেশজুড়ে ১,২৪৮টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।
আরও পড়ুন কর্নাটক থেকে হিজাব বিতর্ক এবার পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়েও
সম্প্রতি লোকসভায় তৎকালীন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নয়া ড্রেস কোড নিয়ে উত্তরে সরকার জানায়, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ইউনিফর্ম কী হবে তা নিয়ে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। এটা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, এটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। ১৯৬৩ সালের পর প্রথম ড্রেস কোড পাল্টায়।