Advertisment

করোনার মতোই একটি ভাইরাস পাঠানো হয়েছিল উহানে, প্রকাশিত রিপোর্টে ছড়াল চাঞ্চল্য

তবে কি বিশ্বজুড়ে করোনার উৎপত্তিস্থল নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল তার সমাধান পাওয়া যাবে? সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে সানডে টাইমস সংবাদপত্র।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী চিত্র

চিনের উহান প্রদেশের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি এমনই একটি কেন্দ্র যেখানে বিশ্বের সমস্ত ভাইরাসকে সংরক্ষণ করে রাখা আছে। এবার ইতিহাস দেখতে গিয়ে জানা গেল অতিমারী নভেল করোনাভাইরাসের মতো একটি ভাইরাসকে ২০১৩ সালে উহানের এই ইনস্টিটিউটে পাঠান হয়। তবে কি বিশ্বজুড়ে করোনার উৎপত্তিস্থল নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল তার সমাধান পাওয়া যাবে?

Advertisment

সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে সানডে টাইমস সংবাদপত্র। সেখানে বলা হয়েছে যে ২০১৩ সালে একটি 'ফ্রোজেন স্যাম্পেল' পাঠান হয় উহানের এই সেন্টারে। সেটি আসলে বাদুরের দেহ থেকে পাওয়া এক ধরনের ভাইরাস। দক্ষিণ চিনে একটি খনিতে কর্মরত ছ'জন শ্রমিকদের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া যায়। তাঁরা জানিয়েছিল যে সেই সময় খনিতে বাদুড়ের মল পরিস্কার করছিলেন তাঁরা। এরপরই আচমকা নিউমোনিয়ায় ভুগতে শুরু করেন ওই ছ'জন শ্রমিক।

আরও পড়ুন, করোনাভাইরাস বায়ুবাহিতই, হু-র সুপারিশ সংশোধন করতে নির্দেশ বিজ্ঞানীদের

জানা গিয়েছে এদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয় ওই করোনাভাইরাসের কারণেই, যা বাদুড়ের মল থেকে সংক্রামিত হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ওই রোগীদের যিনি দেখভাল করেছেন সেই সুপারভাইজার। উল্লেখ্য, উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে বাদুড়ের দেহ থেকে আসা সারস-করোনাভাইরাসের উপর কাজ করা শি জিনগেলিও ওই খনিতেই তাঁর গবেষণার কাজ করতেন।

আরও পড়ুন, করোনা পরীক্ষায় নয়া দিশা দেখালেন ভারতীয় বিজ্ঞানী

গবেষক শি অবশ্য পরিচিত 'ব্যাট ওম্যান' নামে। বাদুড়ের গুহা থেকে গাছ কোনও জায়গাই গবেষণার জন্য খুঁজতে বাকি রাখেননি শি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত একটি পেপারে তিনি উল্লেখ করেন যে করোনাভাইরাসের সঙ্গে ৯৬.২ শতাংশ মিল আছে তেমনই একটি ভাইরাস যার নাম RaTG13, সেটি উহানে পাওয়া যায় ২০১৩ সালে। সানডে টাইমস জানতে পারে এই ভাইরাসই হল খনিতে পাওয়া সেই করোনাভাইরাস।

তবে প্রকাশিত পেপারে বলা হয়েছে যে ফ্রোজেন স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছিল তার সঙ্গে এখনকার ভাইরাসের বেশ কিছু তারতম্য রয়েছে। তাঁদের মত বিবর্তনের ফলেই এমনটা সম্ভব। এদিকে গোটা বিষয়টি নিয়ে উহান ল্যাবে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোনওরকম উচ্চবাচ্য করেননি।

আরও পড়ুন, রোগী মৃত্যু আটকাচ্ছে না হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, ট্রায়াল বন্ধ করল হু

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ডিরেক্টর জানিয়েছিলেন যে তাঁদের কাছে ওই RaTG13-ভাইরাসের কোনও জীবন্ত স্যাম্পেল নেই। তাই এই কেন্দ্রকে ভাইরাস ছড়িয়ে পরার যে কথা বলা হচ্ছে, তা অবাস্তব। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মে মাসে বলেছিলেন যে তিনি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের থেকে বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছেন যেখানে দেখা গিয়েছে উহানের এই কেন্দ্র থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বিশ্বে।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

china coronavirus COVID-19
Advertisment