দেশের ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ চলছে। এই বয়সী যোগ্য জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশির এখন পর্যন্ত করোনার টিকাকরণনের প্রথম ডোজ সম্পন্ন। তবে এরই মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের ৪৮ জেলা। এই ৪৮ জেলায় টিকাকরণের প্রথম ডোজের হারই ৫০ শতাংশেরও কম।
Advertisment
বিষয়টিকে হেলাফেলা না করে গুরুত্ব সহকারে নজর রাখছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে জেলা থেকে আসা টিকাকরণের রিপোর্ট নিয়ে আগামী বুধবার বৈঠকে বসবেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, টিকাকরণের হারে পিছিয়ে পড়া ৪৮ জেলার মধ্যে ২৭টিই উত্তর পূর্বের। এর মধ্যে মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের ৮টি করে জেলা রয়েছে। টিকাকরণের হারে পিছিয়ে পড়া জেলা সবচেয়ে বেশি ঝাড়খণ্ডে। এই রাজ্যের ৯টি জেলায় টিকাকরণের প্রথম ডোজ ৫০ শতাংশেরও কম। রয়েছে, দিল্লির একটি জেলা ও মহারাষ্ট্রের ৬টি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে টিকাকরণে দেশের যোগ্য জনসংখ্যার ৭৭.৪৪ শতাংশ প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছেন ও দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩৫ শতাংশ। মন্ত্রক সূত্রে খবর, টিকাকরণে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে আগামী মাসে 'ডোর-টু-ডোর' টিকাকরণ অভিযান চালানো হতে পারে।
এখনও টিকাকরণ বাকি এই যোগ্য জনসংখ্যাকে এ মাসের শেষ পর্যন্ত প্রথম ডোজ নেওয়া লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। টিকাকরণের হারে চড়াই-উতরাইও ভারতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অন্যতম অন্তরায় বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তর পূর্বের আটটি রাজ্যের প্রতি পাঁচটির মধ্যে তিনটি জেলাতেই টিকারকরণের প্রছম ডোজের হার ৫০ শতাংশের কম।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডের ৯টি, ণিপুর ও নাগাল্যান্ডের ৮টি করে জেলা, অরুণাচলের ৬টি, মহারাষ্ট্রে ৬টি, মেঘালয়ের ৬টি জেলায় টিকাকরণের হার প্রথম ডোজের হার ৫০ শতাংশের নীচে। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে, দিল্লি, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, অসম, মিজোরাম, বিহারের একটি করে জেলা।
দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে দেশের ৮টি বড় রাজ্যের মধ্যে ৪টিতে জাতীয় হারের চেয়ে বেশি টিকাকরণ হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের জাতীয় গড় ৩১ শতাংশ। সেখানে গুজরাট, কর্ণাটক, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে দ্বিতীয় ডোজের হার অনেকটাই বেশি। তুলনায় মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে কম।