ক্রমেই বাড়ছে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা। মোদী জমানায় বারবার বেকারত্বের পরিসংখ্যান নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী শিবির। সরকারের তরফে বুধবার লোকসভায় জানানো হয়েছে গত ৮ বছরে চাকরি হয়েছে মাত্র ০.৩৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি বরাবরই চাকরি প্রার্থীদের প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে।
সরকারের তথ্য অনুসারে ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করেছেন ২২.০৫ কোটি চাকরি প্রার্থী। তার মধ্যে গত আট বছরে চাকরি হয়েছে মাত্র ৭.২২ লক্ষ। যা মোট আবেদনের ০.৩৩ শতাংশ।
একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই তথ্য লোকসভায় পেশ করেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন আট বছরের মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষেই সর্বাধিক চাকরি হয়েছে। সেই সংখ্যাটা ১.৪৭ লক্ষ। এই পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে বিপুল সংখ্যায় শূন্যপদ থাকলেও তা পূরণ করা হয়নি।
এর পাশাপাশি ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ বাদ দিলে ফি বছর সরকারি চাকরির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৫-১৬ সালে চাকরি হয়েছে ১.১১ লাখ; ২০১৬-১৭ সালে ১.০১ লাখ; ২০১৭-১৮ সালে ৭৬,১৪৭; ২০১৮-১৯ সালে ৩৮,১০০, ২০২০-২১ সালে চাকরি হয়েছে ৭৮,৫৫৫ জনের এবং ২০২১-২২ সালে এই সংখ্যাটা সর্বনিন্ম। মাত্র ৩৮,৮৫০ জন চাকরিপ্রার্থী চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: <তরুণ বিজেপি নেতা খুনে উত্তাল কর্ণাটক, বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান>
গত আট বছরে যেখানে মাত্র ৭.২২ লক্ষ প্রার্থী চাকরির জন্য নির্বাচিত হয়েছে সেখানে কেন্দ্র চলতি বছর ১৪ জুন ঘোষণা করেছিল আগামী 18 মাসে ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই ঘোষণার পরই গত আট বছরের নিয়োগের পরিসংখ্যান ঘিরে এই প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ হতে চলেছে সে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন চাকরি প্রার্থীরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই তথ্য দেখায় যে আট বছরে বার্ষিক গড় ২.৭৫ কোটি আবেদনের ক্ষেত্রে প্রতি বছর গড়ে ৯০,২৮৮ জন প্রার্থীকে চাকরির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। আট বছরে প্রাপ্ত আবেদনের সংখ্যা থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুপাত ০.০৭ শতাংশ থেকে ০.৮০ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
যদিও সিং বলেন, সরকার প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিম চালু করেছে, স্কিমগুলির অধীনে ৬০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি স্বনির্ভরতার পথ মসৃণ করতে কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা স্কিমও চালু করেছে। যার অধীনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। একই সঙ্গে সিং বলেন, কোভিডের কারণে যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারে নিয়োগকর্তাদের আরও কর্মসংস্থান বাড়াতে উৎসাহিত করার কাজ চালানো হচ্ছে।