ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। গত ন'দিনে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ থেকে বেড়ে ৫০০ ছাড়িয়েছে।
Advertisment
চলতি মাসের ১৫ তারিখ ভারতে নোভেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১০। মঙ্গলবার তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩৬-এ। এর মধ্যে অবশ্য ৩৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মারণ ভাইরাসে এদেশে এখনও পর্যন্ত ১০ ভারতীয় সহ মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতরাতেই দিল্লিতে এক কোভিড-১৯ আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তবে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রক এই মৃত্যু নিয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানায়নি।
৩০ জানুয়ারি ভারতের কেরালায় প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। তারপর থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্য়া ১০০ ছপুঁয়ে ফেলেছে। আর গত ন'দিনে করোনা আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধির হার কয়েকগুণ বেড়েছে। মারণ বাইরাসের এই বৃদ্ধি ঠেকাতেই স্বাস্থ্য সচেতনতা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধি, লকডাউনের মত পদক্ষেপ করতে হয়েছে প্রশাসনকে। ইতিমধ্যেই, গুজরাট, আসাম, ঝাড়খণ্ড, গোয়া, মধ্যপ্রদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাসপাতাল নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বাংলাতেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
কেন্দ্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, 'সকল রাজ্য সরকারকে মারণ ভাইরাস মোকাবিলা ও আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বাড়ি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো- যেমন, আইসোলেশন ওয়ার্ড, ক্লিনিক্যাল ল্যাব , কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ভেন্টিলেটর, জীবাণু প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম, মাস্ক প্রস্তুত রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।'
কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তদের আপডেটেট খবর যেন আনলাইনে প্রকাশ করা হয় নিয়মিত।
করোনা মোকাবিলায় জারি ২১ দিনের লকডাউন। তবে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পরিষেবা চালু থাকবে। জীবাণু সংক্রমণ ঠেকাতে দেশবাসীকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখখতে বলা হয়েছে।