শুক্রবার নিজের বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন মুম্বইয়ের এক জেট কর্মী। শহরতলি নাল্লাসোপারায় শৈলেশ কুমার সিং আত্মহত্যা করেন। বিগত তিন মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় ৫৩ বছরের ওই জেট কর্মী অবসাদে ভুগছিলেন বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে শৈলেশ সিং তিন বছর ধরে পেটের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। কেমোথেরাপির জন্য প্রায়শই হাসপাতালে ভর্তি হতে হত তাঁকে। গত শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে বাড়ি আনা হয়েছিল তাঁঁকে।
ঘটনার তদন্ত করা এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন চারতলা বাড়ির ছাদে ওঠার সময়েই শৈলেশ সিং-এর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল। তাঁকে ছাদে ওঠতে দেখে পড়শিরা দমকলে খবর দেন, কিন্তু ততক্ষণে বিপদ ঘটে গিয়েছে। অই আবাসিকের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনিই।
আরও পড়ুন, ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত’, শশী থারুরকে আদালতের সমন
শৈলেশ বাবুর দুই মেয়ে, দুই ছেলে এবং স্ত্রী রয়েছেন। জেট এয়ারওয়েজ সুত্রে খবর তাঁর বড় ছেলে সৌরভ সিং (২৩) জেটেরই অপারেশন বিভাগে কাজ করতেন। শৈলেশ বাবু দীর্ঘ ১৫ বছর জেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
স্টাফ অ্যাসোসিয়েশান-এর কিরণ পাওয়াস্কর জানিয়েছেন, "ছেলে এবং বাবা কেউই মার্চ মাস থেকে বেতন পাচ্ছিলেন না"।
প্রসঙ্গত, বিগত দীর্ঘ কয়েক মাস চরম আর্থিক সংকটে ভোগার পর ১৭ এপ্রিল তাদের পরিসেবা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাতিল করেছে জেট কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাতারাতি প্রায় ১৬ হাজার কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়েন।
জেট এয়ারোয়েজের সিনিয়র টেকনিশিয়ান শৈলেশ সিং-এর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে এখনও কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পুলিশ দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু হিসেবেই নথিভুক্ত করেছে তা।
Read the full story in English