ওয়ান্টেড ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে চিফ’ অমৃতপাল সিং আম্বালা থেকে হরিয়ানা রোডওয়েজের একটি বাসে উঠেছিলেন এবং কুরুক্ষেত্রের পিপলিতে নেমেছিলেন, বাস চালক দিল্লি এবং পাঞ্জাব পুলিশের সামনে এমনই তথ্য তুলে ধরেছেন।
পলাতক মোস্ট ওয়ান্টেড অমৃতপাল সিং। পাঞ্জাবের পুলিশের সঙ্গে রীতিমত চোর-পুলিশ খেলায় মেতে উঠেছে এই অমৃতপাল সিং। এবার পুলিশের হাতে এসেছে এমনই কিছু তথ্য যা চমকে দিতে বাধ্য। গ্রামেই চলত অস্ত্র প্রশিক্ষণের পাঠ। কীভাবে অমৃতপাল সিং তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে তা এখন ভাবাচ্ছে দুঁদে গোয়েন্দাদেরও।
পঞ্জাবের খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংকে শেষবার হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে। এমনটাই দাবি পঞ্জাব পুলিশ। নিজেদের দাবির সমর্থনে পঞ্জাব পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করেছে। সেই ফুটেজে ছাতা মাথায় এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, তাঁর মুখ দেখা যায়নি। ফুটেজ দেখা গিয়েছে পিছন থেকে। ওই ব্যক্তির পরনে ছিল প্যান্ট-জামা।
‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল। সম্প্রতি পঞ্জাবকে অশান্ত করে তোলার পিছনে এই যুবকের বড় ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করছে পঞ্জাব পুলিশ। তার সংগঠনের মাধ্যমে গোটা পঞ্জাবে স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবি ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে তার বেশ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে। এমনকী, যারা তাকে পালাতে সাহায্য করেছে, তাদেরকেও গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশ। কিন্তু, এখনও অবধি অমৃতপালকে গ্রেফতার করা যায়নি।
মোস্ট ওয়ান্টেড অমৃতপাল সিং সম্পর্কে প্রতিদিনই নিত্যনতুন ও চমকপ্রদ প্রকাশ ঘটছে। অমৃতপালের বন্দুকধারী বাহিনীর এক ভিডিও পেয়েছে পুলিশ। অমৃতপালের জল্লুপুর খেদা গ্রামে এই ফায়ারিং রেঞ্জ তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশ তার ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, অমৃতপালের সঙ্গে থাকা আনন্দপুর খালসা ফৌজের সদস্যরা গুলি চালানোর অনুশীলনে মত্ত রয়েছে।ইতিমধ্যে অমৃতপাল আনন্দপুর খালসা ফৌজ (AKF) এর লোগোও প্রকাশিত হয়েছে।
পুলিশের ধারণা এলেকার যুবকদের অর্থের বিনিময়ে তার ফৌজে নিয়োগ করতেন তিনি। যুবকদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে যুবকরা খুশিতে লাফিয়ে উঠছে।
অমৃতপালের সহযোগী তেজিন্দর সিং গিল ওরফে গোর্খা বাবাকে পাঞ্জাব পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি অমৃতপালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে কাজ করতেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ফোনে থাকা ভিডিও দেখে চোখ কপালে পুলিশের। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ফোনে থাকা ভিডিও’গুলিই বড় প্রমাণ কীভাবে অমৃতপাল দেশে খালিস্তানপন্থী চিন্তাভাবনাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতেন। এ ছাড়া দেশবিরোধী কাজে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতেন তিনি ও তার দলের সদস্যরা।
পাঞ্জাব থেকে পলাতক খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংকে সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে এসএসবি। আশেপাশের এলাকা এবং ভারত-নেপাল সীমান্তকেও তার বিষয়ে তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতেও চলছে বিশেষ নজরদারি।