কৃষি আইনের বিরোধিতীয় প্রতিবাদে অনড় কৃষকরা। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশর গাজিপুর সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভে সামিল প্রতিবাদীরা। উত্তরপ্রদেশ থেকে কৃষকদের ভিড় বাড়ছে গাজিপুরে। বিভিন্ন জায়গায় মহাপঞ্চায়েতের মাধ্যমে গাজিপুরে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কৃষক নেতারা। আর এতেই যেন সিদুঁরে মেঘ দেখছে যোগীর প্রশাসন। লালকেল্লা তাণ্ডবের স্মৃতি উস্কে উঠছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ভাঙচুর-অশান্তির। তাই প্রতিবাদী কৃষক নেতাদের আগেভাগে ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড জমা দিয়ে প্রতিবাদের কথা বলেছে উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলা প্রশাসন।
এর আগে সাম্ভা-সীতাপুরে জেলা প্রশাসনও একই নোটিস জারি করেছে। প্রাক্তন আরএলডি বিধায়ক বীরপাল সিংয়ের দাবি, তিনি ছাড়াও আরও ছ'জন কৃষক নেতাকে এই নোটিস পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। বারাউ তহসিলে কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত বসেছিল ৩১ জানুয়ারি। তার আগের দিন ৩০ জানুয়ারি জেলা প্রসাসন এই নোটিস পাঠায়। উল্লেখ্য, এই মহাপঞ্চায়েত থেকেই সিদ্ধান্ত হয় বাগপত থেকে গাজিপুরের সভায় যাবেন কৃষকরা।
প্রশাসনের এই নোটিসকে আন্দোলন দমন করার প্রক্রিয়া হিসাবেই দেখছেন প্রতিবাদী কৃষক নেতারা। তবে এ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন বাগপতের জেলা শাসক রাজকমল যাদব। নোটিসে সাক্ষরকারী এসডিও (বারাউ) এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।
যদিও অতিরিক্ত জেলাশাসক অমিত কুমার বলেছেন, 'জেলার আইন-শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করেই ওই নোটিস দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে কৃখ আন্দোলনের কোনও যোগ নেই। এই প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। ৭০০ জনের কাছে নোটিস পৌঁছেছে।'
পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতই জেলাপ্রশাসন নোটিস জারি করেছে বলে জানানো হয়েছে। বারাউ-র স্টেশন অফিসার অজয় কুমার বলেছেন, 'বীরপাল সিং রাঠি সহ মোট সাত জনকে এই নোটিস পাঠাতে বলা হয়েছে। বীরপালের মন্তব্যে কৃষক আন্দোলন তেতে উঠতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।' তবে, এতে ভীত নন বীরপাল। তিনি জানিয়েছেন, কৃষকদের অহিংস আন্দোলন চলবে। লালকেল্লা তাণ্ডবে তাঁর বয়ান রেকর্ডের জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের সমন পেয়েছেন তিনি। পুলিশ তাঁকে অন্যায়ভাবে পাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি বীরপালের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন