সীমান্তে চিনা আগ্রাসন বেড়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থার বদল হয়েছে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গত চার মাস ধরে যাবতীয় অশান্তির দায় চিনের ঘাড়েই চাপিয়েছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার সুর চড়িয়ে বেজিংকে বার্তা দিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, 'ভারতীয় সেনাই সর্বোত্তম পথে লাল-ফৌজের আগ্রাসন ঠেকাতে সক্ষম।'
ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামে জেনারেল রাওয়াত বলেছেন, 'ভারতকে প্রায়ই চিনা আগ্রাসনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা (ভারতীয় সেনা) এই পরিস্থিতি সর্বোত্তম পথেই মোকাবিলা করতে সক্ষম।'
লাদাখের লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গত চার মাস ধরে যাবতীয় অশান্তির দায় চিনের বলে এদিন স্পষ্টবাবে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, 'একতরফা ভাবে এলএসি-র অবস্থানের বদল ঘটাতে চেয়েই পরিস্থিতি ঘোরাল করে তুলেছে চিন।' তাঁর অভিযোগ লাদাখের স্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে চাইছে লাল-ফৌজ। জুন মাসে গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে সেনা ও কূটনৈতিকস্তরে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও ২৯ অগাস্ট রাতে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের চেষ্টা এবং ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ফের পরিস্থিতি জটিল হয়েছে।
বেজিংয়ের বন্ধু পাকিস্তানকেও এদিন বার্তা দিয়েছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেছেন, 'প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ইন্দো-চিন সীমান্ত উত্তেজনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোনও দেশ ভারতের বিরুদ্ধে অপকর্ম করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের প্রচণ্ড ক্ষতি হবে।' সীমান্ত দিয়ে এ দেশে জঙ্গি অনুপ্রবেশের করানোর জন্যও এদিন পাকিস্তানকে দায়ী করেন তিনি।
চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়নোর এটাই সুযোগ বলে মনে করেন জেনারেল রাওয়াত। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, 'ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমণে সেনা ও কূটনীতিক পর্যায়ে দুই দেশের আলোচনা চলছে। সমস্যা সমাধানে যদি সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তাহলে বিকল্প হিসাবে সামরিক অভিযানের পথ খোলা রয়েছে।’
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন