লন্ডভন্ড করে দিল ঝড়, বিহারে ১৬ জেলায় মৃত ৩৩

প্রবল বাতাস এবং বজ্রপাত-সহ বৃষ্টিতে গত ১৯ মে বিকাল থেকেই বিহার ছিল বিপর্যস্ত।

প্রবল বাতাস এবং বজ্রপাত-সহ বৃষ্টিতে গত ১৯ মে বিকাল থেকেই বিহার ছিল বিপর্যস্ত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Rainfall

বিহারে ঝড়, বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিতে ১৬ জেলায় ৩৩ জনের মৃত্যু হল। মৃতদের নিকটআত্মীয়ের প্রত্যেককে ৪ লক্ষ টাকা করে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে।

Advertisment

প্রবল বাতাস এবং বজ্রপাত-সহ বৃষ্টিতে গত ১৯ মে বিকাল থেকেই বিহার ছিল বিপর্যস্ত। এই প্রাকৃতিক দুর্বিপাকে বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে গিয়েছে অসংখ্য গাছ। গাছ উপড়ে রাস্তায় পড়ে যানচলাচল ব্যাহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটিও। যার জেরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন- রেললাইনেই দিন কাটাচ্ছেন বন্যা কবলিত অসমের পাঁচশো’র বেশি পরিবার

Advertisment

পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে শুক্রবারই দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'বিহারের বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রপাত ও প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে বহু লোক মারা গিয়েছেন। যা দেখে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। ঈশ্বর শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোকে এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন।' একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের অধীনে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এবং ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে।

আবহাওয়া দফতরের পাটনা কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, এই ঝড় এবং বৃষ্টিপাত আগামী দুই দিন চলবে। বিহার জুড়ে বিভিন্ন স্থানে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়় বয়ে যাবে। পাশাপাশি, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম চম্পারন, পূর্ব চম্পারন, গোপালগঞ্জ, শেওহর, সীতামারি, মুজফফরপুর, দারভাঙ্গা, মধুবনি, সহরসা, মাধেপুরা, সুপল, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ, পূর্ণিয়া এবং কাটিহারে বজ্রপাত এবং ঝড়-বৃষ্টির জন্য 'হলুদ' সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Read full story in English

rain Thunderstorm bihar