বিশ্বে ফের নয়া দাপট শুরু হয়েছে করোনার। নির্মূল তো দূর, নয়া আক্রমণে তটস্থ বিভিন্ন দেশ। ভ্যাকসিনে ভরসা রেখেই জারি রয়েছে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই। সেই আবহেই অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিএসএল লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করল।
শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট জানান এই নয়া ভ্যাকসিনের পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে এটি একদম নিরাপদ এবং সফলভাবে মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারছে। এখন এমন এক সময় যখন সারা বিশ্বজুড়েই ওষুধপ্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি ঝাঁপিয়ে পড়েছে কোভিড প্রতিরোধক তৈরি করতে। যেমন আমেরিকার ফাইজার ভ্যাকসিনের পর বড় সাফল্যর মুখ দেখল রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি। কোভিড -১৯ থেকে মানুষকে সুরক্ষিত করতে ৯২ শতাংশ কার্যকর এই ভ্যাকসিন এমনটাই জানান হয়েছে রাশিয়ার তরফে।
আরও পড়ুন, ভ্যাকসিন দৌড়ে এগোল ভারতের কোভিশিল্ড
অন্যদিকে, পিছিয়ে নেই ভারতও। দেশের শীর্ষস্থানীয় সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) যৌথভাবে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের শেষ ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের টিকা দেওয়ার অনুমোদন পেল। এসআইআই ইতিমধ্যে ডিসিজিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে ভ্যাকসিনের ৪০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করেছে, সংস্থার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে এমনটাই জানান হয়েছে। বর্তমানে, এসআইআই এবং আইসিএমআর সারা দেশে ১৫ টি কেন্দ্রে কোভিডশিল্ডের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করছে। শেষ ধাপে এই ভ্যাকসিনের যাবতীয় অনুমোদন সারা হয়েছে। অপেক্ষা কেবল বাজারে আসার।
যদিও ভাইসিন দৌড়ে অন্যান্যদের কিছুটা পিছনে আছে অস্ট্রেলিয়া। তবে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিএসএল দ্বারা নির্মিত ভ্যাকসিন এখন পরীক্ষার শেষ পর্যায় শুরু করবে, এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হান্ট। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "প্রাথমিক যে ক্লিনিকাল পরীক্ষা হয়েছে সেখানে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ বলে প্রমাণিত হচ্ছে এবং এটি অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। ভ্যাকসিনটির যা কাজ সেটাই করছে।" ২০২১ সালের মাঝামাঝি এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বলেই আশা রাখছে অস্ট্রেলিয়া।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন