/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/cats-241.jpg)
ভারত-চিন সংঘাত আবহে সামনে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে পূর্ব লাদাখে ৬৫টি পেট্রোলিং পয়েন্টের মধ্যে ২৬টিতে অস্তিত্বই নেই ভারতের! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, সামনে আসতেই শোরগোল। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের এহেন দাবি কে কেন্দ্র করে তুঙ্গে তরজা। যদিও সরকার এই নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
কী বলা হয়েছে রিপোর্টে? রিপোর্টে বলা হয়েছে পূর্ব লাদাখে প্রায় ২৬টি পেট্রোলিং পয়েন্টে টহল দিচ্ছে না ভারতীয় সেনা। ২৬ টি পয়েন্টে উপস্থিতি নেই ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর। প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাদাখের প্রধান শহর লে-র পুলিশ সুপার জানিয়েছে ৬৫ টি টহলদারি পয়েন্টের মধ্যে ২৬ টি’তে এই মুহূর্তে ভারতের কোন অ্যাক্সেস নেই।
এর মধ্যে রয়েছে ৫-১৭, ২৪-৩২ এবং ৩৭ নম্বর টহলদারি পয়েন্ট। কোনও কোনও সময় এই ধরনের বাফার জোনের ওপরে চিন নিজেদের ক্ষমতা জাহির করছে। ফলে ভারত কিছু অঞ্চলের ওপরে তার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। ভারত ও চিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন রিপোর্ট ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। গত ২২ শে ডিসেম্বর এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে দাবি করা হয়েছে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর কমপক্ষে ৩০ টি পিপি রয়েছে, যেখানে ভারতীয় সেনারা আর টহল দিচ্ছে না।
Modi Govt’s continued denial of illegal occupation and construction of infrastructure by Chinese has endangered our borders. @narendramodi ji,
You must take Nation & Parliament into confidence.
Your CLEAN CHIT to China is costing the nation’s Territorial Integrity! pic.twitter.com/VMABRfblO2— Mallikarjun Kharge (@kharge) January 25, 2023
সূত্রের দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের উপস্থিতিতে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত দেশের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বার্ষিক কাউন্সিলে জমা দেওয়া প্রতিবেদন থেকেই এই তথ্যটি সামনে এসেছে।
রিপোর্ট থেকে বেরিয়ে আসা তথ্যের পর মোদী সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করে বলেছেন যে আপনি যেভাবে চিনকে যে ক্লিন চিট দিয়েছেন তা দেশকে অসম্মানিত করছে।
রিপোর্টে কি আছে?
পেট্রোলিং পয়েন্টে নজরদারির বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২৬টি পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে আইএসএফ বা ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ধরা পড়েনি। এদিকে, এ বিষয়ে কেন্দ্র-এর তরফে থেকে এখন পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে এই পয়েন্টগুলিতে নিয়মিত টহল দেওয়া হয়েছিল এপ্রিল-মে ২০২০-এর আগে, যখন চিন পূর্ব লাদাখে এলএসির কাছাকাছি সেনা মোতায়েন করা শুরু করেছিল। ১৫ই জুন,২০২০-এ পিএলএ-র সঙ্গে এক হিংসাত্মক সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হযন। এই সংঘর্ষে অন্তত চার জন চিনা সৈনিকেরও মৃত্যু হয়।
একটি সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সীমান্তে পিছিয়ে নেই ভারতও। চিনের মতোই নজরদারি জন্য ভারতের কাছেও ক্যামেরা কিংবা প্রযুক্তি রয়েছে। আরও সামরিক সম্ভার বাড়ানোর কাজ চলছে। সীমান্তে কিছু জায়গায় বিরোধের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য উভয় পক্ষেরই টহলদারি থাকছে না। এক্ষেত্রে ভারতের কোনও জমি চিনের দখলে চলে যাওয়ার খবর ভুল বলেও দাবি করা হয়েছে।