তাওয়াংয়ে সংঘর্ষের পর প্রথমবার আলোচনার টেবিলে ভারত ও চিনের সেনাকর্তারা। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরে ভারতীয় জওয়ানদের উপর হামলা চালায় প্রায় ৩০০ চিনা সেনা। পেরেক লাগানো লাঠি দিয়ে হামলা করা হয়। দুই ভারতীয় জওয়ান গুরুতর আহত হন। লালফৌজকে হঠিয়ে দেয় ভারতীয় সেনা।
গত ২০ ডিসেম্বর সেই ঘটনার পর প্রথমবার আলোচনার টেবিলে বসে দুই পক্ষের কম্যান্ডাররা। উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনাও হয়। বৃহস্পতিবার বৈঠকের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বলা হয়েছে, বৈঠক আশাপ্রদ এবং গভীর ভাবে হয়েছে। দুই দেশের স্বার্থে দ্রুততার সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মিটিয়ে ফেলার পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী স্তরে দুই পক্ষ ওই অঞ্চলে সুরক্ষা এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে। পূর্ব লাদাখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ভারত ও চিনের সেনা গোগরা-হট স্প্রিং এলাকা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২০২০ সালের জুনের গালওয়ান সংঘর্ষের পর পর্যায়ক্রমে ১৬ রাউন্ডের বৈঠকের শেষে সেপ্টেম্বরে দুই পক্ষের সেনা কম্যান্ডার সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন ভারত-চিন বৈঠক, কতটা কাটল সীমান্ত নিয়ে তীব্র উত্তেজনা?
উল্লেখ্য, লাদাখে অস্থিরতা চলছেই ডেপসাংয়ে চিনা অনুপ্রবেশ এবং ডেমচক এলাকায় চিনা পরিকাঠামো নির্মাণের জেরে। প্যাংগং লেকে দুটি সেতু নির্মাণ করে চিনা সেনা হ্রদের দক্ষিণ পাড়ে দ্রুত জায়গা দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত মঙ্গলবার চুসুল মল্ডো সীমান্তে ইন্দো-চিন কম্যান্ডাররা বৈঠক করে সেনা সরানোর বিষয়ে একমত হয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, দুই পক্ষ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে। দুই পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে সেনা এবং কূটনৈতিক ভাবে ওই অঞ্চলে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী।