জম্মুর নাগরোটায় চার জইশ জঙ্গিকে হত্যা করার পর জিপিএস-এর মাধ্যমে ২০০ মিটার দীর্ঘ একটি সুরঙ্গের খোঁজ পাওয়া যায়। বিএসএফ আউটপোস্টের কাছে এই সুরঙ্গের খোঁজ পেয়ে যদিও বিশাল চমকে যায়নি জম্মু কাশ্মীরের বিএসএফ বাহিনী। কারণ টানা কয়েক বছর ধরে জম্মু সীমান্তে মোট ৬টি টানেলের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা।
১৯৯৭ সালে প্রথম পাঞ্জাবে এই সীমান্ত পেরোনো সুরঙ্গের খোঁজ মেলে, যা জঙ্গিদের দ্বারা ব্যবহৃত ছিল। খলিস্তান আন্দোলন এবং কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার সূত্রপাত হতেই সীমান্তেই দুই প্রান্তে বাড়তে থাকে এমনই কিছু টানেল। অফিসাররা জানান এখন সীমান্তে নজরদারী খুব কড়া থাকে তাই জঙ্গিদের জন্য এই টানেলগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপত্যকতায় হামলা চালাতে সুবিধা হয় জঙ্গিদের।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বিএসএফ আইজি রাকেশ শর্মা বলেন, "২০০ কিলোমিটারের টানেল খুঁজে পাওয়া নি:সন্দেহে বড় ব্যাপার।" এই টানেল থেকে ১১টি এ কে অ্যাসল্ট রাইফেল, ২৪ রাউন্ড কার্তুজ, ৭.৫ কেজি আরডিএক্স, গ্রেনেড লঞ্চার, পিস্তল এছাড়াও আরও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। রাকেশ শর্মা জানান, "মাটির নীচে তল্লাশি চালানো খুব কঠিন। এছাড়াও আলাদা লোকেরও প্রয়োজন হয়। আর সে কারণেই এই পদ্ধতিটিকেই বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা।"
প্রসঙ্গত, এর আগে যেসব সুড়ঙ্গ উদ্ধার হয়েছিল তা বেশিরভাগই পাঞ্জাব প্রদেশে। ২০১২ সাল থেকে জম্মুতে বেড়েছে এই টানেল খোঁড়ার কাজ। সেই সময় যে সুরঙ্গের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল তা ছিল ২৫৫ মিটার লম্বা। চওড়ায় ২.৫ ফুট, দৈর্ঘ্যে ৫ ফুট।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন