করোনা সংক্রমণে হার পুরষদেরই বেশি। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ষাটোর্ধ্ব। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৮৬ শতাংশেরই আবার ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাইপার টেনশনের মত রোগ ছিল। সোমবার পর্যন্ত দেশে মৃত ১০৯ জনের উপর একটি সমীক্ষায় এই তথ্য মিলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে, ভারতে করোনা আক্রান্ত ৪,৪২১ জনের মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ। মৃতদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ পুরুষ।
Advertisment
সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত পর্যন্ত ভারতে মোট ১লক্ষ ১ হাজার ৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আইসিএমআর-এর মহামারী সংক্রান্ত বিভাগের ডিরেক্টার আর আর গঙ্গাখেদর জানিয়েছেন ডহল শিফটে কাজ করা গেলে প্রত্য়েকদিন প্রায ২৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা সম্ভব। পরীক্ষার জন্য পাঁচ লক্ষ কিটের বরাত দেওয়া হয়েছে।
ভারতে করোনার প্রকোপ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগারওয়াল বলেছেন, 'এ দেশে করোনা সংক্রমণ বর্তমানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের মাঝে রয়েছে। স্থানীয় সংক্রমণ যাতে গোষ্টী সংক্রমণে রূপান্তরিত না হয় তার জন্য চেষ্টা চলছে।'
দেশে ৪,০৬৭ জন করোনা সংক্রমিতের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে যে, মৃতদের মধ্য়ে ৩০ শতাংশ ৪০-৬০ বছর বয়সী। মাত্র ৭ শতাংশ ৪০ বছরের নকম বয়স্ক। একই প্রবণতা বিশ্বজুড়ে দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, মৃতদের মধ্যে ৮৬ শতাংশেরই ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাইপার টেনশন ছিল। প্রবীণদের মধ্যে ১৯ শতাংশ নিশ্চিত ঘটনা পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। প্রবীণদের জন্য এই অবস্থা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। মৃতদের মধ্যে ৬৭ শতাংশের বয়স ষাট বছরের কম। কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাইপার টেনশনের মত সমস্যা থাকলে তা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।
নিজামুদ্দিনের ঘটনার পর থেকেই তীব্র গতিতে ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই ওই জমায়েতে অশগ্রহণকারী ২৫ হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
রোনা বিধ্বস্ত বেশ কয়েকটি দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ সরবরাহ করবে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এই ঘোষণা করেন। এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কয়েকটি প্রতিবেশী দেশকেও করোনারোধী ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহ করা হবে।