অপেক্ষার অবসান। দেশে করোনার টিকাকরণ (Covid-19 Vaccination) কর্মসূচির সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা দেশের মোট ৩০০৬ কেন্দ্রে টিকাকরণের কাজ হচ্ছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ১০০ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৩ কোটি মানুষকে টিকাকরণ করে হচ্ছে। এঁরা প্রত্যেকেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমদিনেই গোটা দেশে মোট ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭১৪ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হল। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গে এদিন মোট ১৫ হাজার ৮৮৩ জন প্রতিষেধক টিকা নিয়েছেন। আর কলকাতায় ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৭৩৭জন। রাজ্যজুড়ে মোট ২০৭টি কেন্দ্রে করোনার টিকাকরণ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রথম দিন ভ্যকসিন নেওয়ার পর এখনও অবধি কাউকে হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া যায়নি। করোনা টিকাকরণ নিয়ে সমস্ত রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। অভিযানের সফল সূচনার জন্য তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের অভিনন্দনও জানান।
শনিবার বিশ্বের বৃহত্তম গণটিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু দেশের বৈজ্ঞানিকরা দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করেছেন। ওঁদের প্রশাংসা প্রাপ্য। ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে ভারত সরকার বিনামূল্যে টিকা দেবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া প্রথমসারির যোদ্ধাদের আগে টিকা দিয়ে দেশ ঋণ শোধ করবে। দ্বিতীয় দফায় ৩০ কোটি মানুষ টিকা পাবেন। ধীরে ধীরে সব দেশবাসীকেই টিকা দেওয়া হবে।"
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এও বলেন যে, "ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ রয়েছে। এক মাসের মধ্যেই এই দুটি ডোজ নিতে হবে। ভুলের কোনও জায়গা নেই। প্রথম ডোজ দু'সপ্তাহের মধ্যেই কাজ করবে।" তাঁর কথায়, "আপনারা অতিমারী আবহে ধৈর্য দেখিয়েছিলেন, আশাকরি টিকা দেওয়ার সময়ও সেই একইরকম ধৈর্য প্রদর্শন করবেন।"
টিকাকরণ শুরু হলেও দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর সতর্কবাণী, "টিকাকরণের পরও মাস্ক পড়তে হবে, ২ গজের দূরত্ববিধি মানতে হবে। গা ঢিলে দিলে পরিণতি কিন্তু কঠিন হতে পারে।"