জম্মু-কাশ্মীর থেকে ১৯৭১ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন বাতিল করা হল। বলবৎ হল জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় আইন। এর আগে সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ-এর প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণে জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র দফতরের অনুমতির প্রয়োজন হতো। কিন্তু নতুন আইন লাগু হওয়ায় সেই অনুমতির আর প্রয়োজন হবে না।
উপত্যাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য জমি অধিগ্রহণ এখন 'ভূমি অধিগ্রহণ, ন্যায্য পুনর্বাসন ও স্বচ্ছ অধিগ্রহণ পুনর্বাসন আইন, ২০১৩-র আওতাভুক্ত করা হল।
কেন্দ্র শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের রাজস্ব দফতরের তরফে গত ২৪ জুলাই জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ বা সমতুল কোনও সংস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি এবার ২০১৩ সালের জমি অধিগ্রহণ ও ন্যায্য পুনর্বাসন আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের জমি অধিগ্রহণ আইনটি প্রত্যাহার করা হল। এখন থেকে সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ বা সমতুল কোনও সংস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণে স্বরাষ্ট্র দফতরের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না।
জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনের বিষয়টি এবার থেকে জেলা কালেক্টররাই দেখভাল করবেন। এমনকী জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেও দায়িত্বে থাকবেন জেলা কালেক্টর।
১৯৮৮ সালের বিল্ডিং অপরেশন অ্যাক্ট ও ১৯৭০ সালের ডেভালপমেন্ট অ্যাক্ট সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। এই পদক্ষেপের ঠিক পরের দিন সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ বা সমতুল কোনও সংস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণে স্বরাষ্ট্র দফতরের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। এখন থেকে উপত্যকার 'কৌশলগত অঞ্চলে' নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে শস্ত্র বাহিনী বিশেষ অধিকার পেল।
জমি অধিগ্রহণ ও ন্যায্য পুনর্বাসন আইন ২০১৩ অনুসারে কৌশলগত কারণে ভারতীয় সেনা, নোবাহিনী, ও বাযু সেনা, সিআরপিএফ, বিএসএফ-এর আর প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলোতে (পদুতেরি বাদে) জমি অধিগ্রহণে কেন্দ্রীয় জমি অধিগ্রহণ আইনই লাগু হবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন