সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহে সুপারস্প্রেডারের রূপ নিয়েছে হরিদ্বারের কুম্ভমেলা। মহাকুম্ভে দুটি শাহী স্নানের পর গত পাঁচদিনে অন্তত ১৭০০ পুণ্যার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড বিধি শিকেয় উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের কোভিড বিধি মানতে শেখাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্যরা। পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং কোভিড ম্যানেজমেন্টের কাজ করছেন আরএসএস কর্মীরা। একপ্রকার সিভিক পুলিশের মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।
অধিকাংশই ২০ থেকে ২৫-এর মধ্যে বয়সী। সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার শিফটে রাস্তায় পড়ে থেকে কাজ করছেন তাঁরা। সেই ৭ এপ্রিল থেকেই রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের সাহায্যকারী হিসাবে কাজ করছেন সংঘসেবকরা। প্রায় ১৫৩৩ জন স্বয়ংসেবক হরিদ্বারের পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ড পুলিশের বিশেষ নোডাল অফিসারের তত্বাবধানেই তাঁরা নিয়োজিত হয়েছেন। ইতিহাসে প্রথমবার সিভিক পুলিশের মতোই তাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন। পরনে চিরাচরিত সাদা শার্ট ও খাকি ফুলপ্যান্ট, গায়ে সংঘের উত্তরীয় পরে।
বর্তমানে যাঁরা রাস্তায় নেমে কাজ করছেন তাঁদের পুলিশের তরফে বিশেষ পরিচয় পত্র, একটি টুপি এবং জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে। কখনও দেখলে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে ভুল হতে পারে। কুম্ভমেলার ডেপুটি এসপি বীরেন্দ্র প্রসাদ দাবরাল বলেছেন, স্বয়ংসেবকরা আগেও কুম্ভের সময় স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু এবার কোভিডের প্রকোপ, তাই ট্রাফিক ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে তাঁদের বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস সেবাদলের মতো আরও অনেক সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে এখানে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংঘের উত্তরাখণ্ড প্রান্ত শারীরিক প্রমুখ সুনীল বলেছেন, কুম্ভমেলার আইজি সঞ্জয় গুঞ্জাল প্রথম এই উদ্যোগ নেন। গত মার্চে সংঘের কাছে আবেদন করেন গুঞ্জাল। স্বয়ংসেবকরা যাতে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে মেলায় কাজ করেন সেই আর্জি জানান। তবে এই কাজ বিনা পারিশ্রমিকেই করছেন স্বয়ংসেবকরা। কারণ, কুম্ভের মতো পবিত্র স্থানে পুণ্যার্থীদের সেবা করার জন্য কোনও পয়সা তাঁরা চান না।