Advertisment

লকডাউনে বাজার আগুন! দাম বৃদ্ধি সবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর

এদিকে শাকসবজির পাশাপাশি দাম বেড়েছে ভোজ্যতেলেরও। কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে বন্ধ উৎপাদন। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে দামে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দাম বেড়েছে শাকসবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর। ছবি- জশপ্রীত সিং

লকডাউনে গৃহবন্দি শহরের বাজারে এখন হাত ঠেকানোই দায় হয়েছে মধ্যবিত্তের। করোনাভাইরাসের দাপটে স্বল্প সঞ্চয়ে দিন গুজরানের আশায় এবার পড়েছে টান। এদিকে যোগান কম, চাহিদা বেশি অন্যদিকে লকডাউন হয়েছে রাজ্যেগুলিতে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং শাকসবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। মার্চের শুরুর দিকে পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম কিছুটা আয়ত্তের মধ্যে আসলেও, লকডাউনের পর থেকেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাদের প্রতি কিলো মূল্য, এমনটাই জানা গিয়েছে কনজিউমার বিভাগের তথ্যে।

Advertisment

সাধারণ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা দেখা দিলে পাইকারি দাম হ্রাস পায় এবং খুচরো দাম বৃদ্ধি পায়। কিন্তু লকডাউন দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে পাইকারি দামও। যদিও অর্থনীতিবিদ এবং কৃষি বিশেষজ্ঞদের মত, যেহেতু বেশ কিছু জায়গায় মজুত সামগ্রী রয়ে গিয়েছে প্রচুর পরিমাণে এবং বিক্রি কমেছে তাই সেই হারে বেড়েছে পাইকারি দামও। তবে শাকসবজির দাম এমন বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে সরবরাহের ঘাটতিকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু এসব ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে, যাতায়াত ব্যবস্থাও সুগম নয় ফলে খুচরো বিক্রির ক্ষেত্রে বেড়েছে দামও।

এদিকে শাকসবজির পাশাপাশি দাম বেড়েছে ভোজ্যতেলেরও। কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে বন্ধ উৎপাদন। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে দামে। প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামের বিভাজনকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে মার্চের শুরুতে নেমে যাওয়ার পেঁয়াজের দাম মার্চের প্রথমার্ধ থেকে দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে নয় শতাংশ বেড়েছে, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে দাম। গত বছরের তুলনায় আলু এবং টমেটোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭.৫ এবং ৪৬.৬ শতাংশ। তবে গত তিন দিন এই দাম কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে কনজিউমার দফতর।

publive-image দাম বৃদ্ধির পরিমাণ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীতেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই১৫ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ডালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ থেকে ৮ শতাংশ, চিনির দাম বেড়েছে ২ শতাংশ, দুধ ও চায়ের দাম বেড়েছে ২.৪ এবং ১০ শতাংশ।

কিন্তু কেন এভাবে বাড়ল দাম? আদানি উইলমার (ফরচুন গ্রুপ) গ্রুপের ডেপুট সিইও অংশু মল্লিক জানিয়েছেন, “বর্তমানে আমাদের বেশিরভাগ প্লান্ট চাহিদা মেটাতে কাজ করছে। তবে লোকবল কম তাই সেইভাবে কাজ চালাতে হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয় লোডও চালাতে হচ্ছে আমাদের। তবে আমরা আমাদের ডিপোগুলিতে পণ্য সরবরাহ করা নিশ্চিত করছি এবং সেখান থেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে বিতরণ করা যায় সেই ব্যবস্থাও করছি।"

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus
Advertisment