প্রয়াত মোদীর মা হীরাবেন দেবী। মায়ের প্রয়াণের খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সব কাজ ফেলে গুজরাটের গান্ধীনগরে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী। মায়ের মৃত্যুতে শোকে পাথর মোদী। এক টুইটবার্তায় তিনি লেখেন, 'সুন্দর একটি শতাব্দী শেষে ভগবানের চরণে বিশ্রাম নিতে গেছেন মা। মায়ের মধ্যে সবসময় আমি ত্রিমূর্তি দেখতে পেয়েছি। যার মধ্যে ছিল এক সাধুর যাত্রা, এক কর্মযোগীর প্রতীক এবং মূল্যবোধের প্রতি দায়বদ্ধতা।' মোদী জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে শতবর্ষের জন্মদিনে দেখা করেছিলেন তিনি। মা তাকে বলেছিলেন, বুদ্ধি দিয়ে সব কাজ কাজ করতে হবে। আর জীবনযাপন করতে হবে শুদ্ধভাবে।
হীরাবেনের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী থেকে রাষ্ট্রপতি, মমতা বন্দোপাধ্যায় থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদীর মা হীরাবেন মোদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এক টুইট বার্তায় লিখেছেন ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা শ্রীমতি হীরা বা-এর মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। এই কঠিন সময়ে, আমি তাকে এবং তার পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা ও ভালোবাসা জানাই’। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রধানমন্ত্রী মোদির মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন৷
মায়ের মৃত্যুতে আবেগঘন টুইট মোদীর। তিনি লিখেছেন, 'সুন্দর একটি শতাব্দী শেষে ভগবানের চরণে বিশ্রাম নিতে গেছেন মা। মায়ের মধ্যে সবসময় আমি ত্রিমূর্তি দেখতে পেয়েছি। যার মধ্যে ছিল এক সাধুর যাত্রা, এক কর্মযোগীর প্রতীক এবং মূল্যবোধের প্রতি দায়বদ্ধতা।' মোদী জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে শতবর্ষের জন্মদিনে দেখা করেছিলেন তিনি। মা তাকে বলেছিলেন, বুদ্ধি দিয়ে সব কাজ কাজ করতে হবে। আর জীবনযাপন করতে হবে শুদ্ধভাবে। আজ ভোরেই প্রয়াত হয়েছেন শতায়ু হীরাবেন দেবী। মায়ের প্রয়াণের খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সব কাজ ফেলে গুজরাটের গান্ধীনগরে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাড়িতে আনা ইস্তক ঠাঁয় গাড়িতে মায়ের পাশেই এদিন বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল নমোকে। পরে গাড়ি থেকে নামিয়ে মায়ের মরদেহ কাঁধে তুলে শ্মশানের পথে রওনা দেন মোদী।
১৯২৩ সালের ১৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন হীরাবেন দেবী। তাঁর পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে। দিন কয়েক ধরেই হীরাবেনের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার বিকেলে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে পৌঁছেছিলেন। মায়ের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। তিনি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেদিন হাসপাতালে ছিলেন। মায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে কথাও বলেছিলেন।নিজে পড়াশোনা না জানলেও নিজের ছেলে মেয়েদের অনেক কষ্ট করে বড় করে তুলেছিলেন হীরাবেন। গুজরাতের গান্ধীনগরের কাছে রায়সান গ্রামে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছোট ভাই পঙ্কজ মোদীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত রায়সান গ্রামে এসে দেখা করতেন মায়ের সঙ্গে। গুজরাট সফরে এলে সময় বের করে মায়ে সঙ্গে দেখা করতে যেতেন মোদী।
তবে এবার সেসবের পালা শেষ। শতায়ু হীরাবেন আর নেই। আজ ভোররাতেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন। এদিন হাসপাতাল থেকে হীরাবেনের মরদেহ প্রথমে মোদীর ভাইয়ের বাড়িতে আনা হয়। সেখানেই পৌঁছে যান নমো। পরে সেই বাড়ি থেকে মরদেহ কাঁধে তুলে শশ্মানের পথে রওয়ান দেন প্রধানমন্ত্রী। গান্ধীনগরের শশ্মানে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মায়ের প্রয়াণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ”শতায়ু হীরাবেন দেবী ছিলেন ভালোবাসা, ধৈর্য, ও আস্তার প্রতীক।” শোকবার্তায় লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ মোদী সরকারের একের পর এক মন্ত্রী মোদীর মায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন। নরেন্দ্র মোদীর মায়ের প্রয়াণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা শ্রদ্ধেয়া হীরাবেন মোদির প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ভোরে আমেদাবাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। শতায়ু হীরাবেন দেবী ছিলেন ভালোবাসা, ধৈর্য ও আস্থার প্রতীক। তিনি শিশুদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন। আমি শোকসন্তপ্ত নরেন্দ্র মোদিজি কে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।