ফের সংবাদ শিরোনামে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের রাজ্য মধ্যপ্রদেশ। আদিবাসী ছাত্রীকে তার নোংরা স্কুলপোশাক খুলে ফেলতে নির্দেশ দেওয়ায় সাসপেন্ড করা হল এক শিক্ষককে। ওই ছাত্রীর বয়স ১০ বছর। তাকে অন্যান্য ছাত্রীদের সামনেই স্কুলপোশাক খুলে ফেলতে নির্দেশ দিল অভিযুক্ত শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে শাহদোল জেলার বড়কলা গ্রামে।
ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরই প্রশাসনের কর্তারা নড়েচড়ে বসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওয় পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, শ্রবণকুমার ত্রিপাঠী নামে অভিযুক্ত শিক্ষক ওই পড়ুয়ার পোশাক কেচে দিচ্ছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে অন্যান্য পড়ুয়ারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যতক্ষণ না তার স্কুলপোশাক শুকিয়ে না-যায়, ওই পড়ুয়া স্কুলে ততক্ষণ অন্তর্বাস পরে বসে থাকতে বাধ্য হয়েছে।
মজার ব্যাপার হল, এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন খোদ অভিযুক্ত শিক্ষক শ্রবণকুমার ত্রিপাঠী। তিনি মধ্যপ্রদেশ সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের অধীনস্থ এই স্কুলে শিক্ষক পদে নিযুক্ত। দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে করা পোস্টে অভিযুক্ত শিক্ষক নিজেকে 'স্বচ্ছতা মিত্র' বলে দাবি করেছেন। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
আরও পড়ুন- তর্পনে গিয়ে শুভেন্দু-দিলীপের ছবিতে মালা, ‘কালারফুল’ মদনের নয়া কাণ্ডে বিতর্ক
ঘটনায় মধ্যপ্রদেশ আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সহকারি কমিশনার আনন্দরাই সিনহা জানিয়েছেন, তিনি শনিবার ঘটনাটি জানতে পারেন। ভিডিওটি দেখেছেন। তারপরই, গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেন। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষক শ্রবণকুমার ত্রিপাঠীকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন। পাশপাশি, ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই সহকারি কমিশনার জানান।
এর আগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে সময়মতো গ্যাস সংযোগ না-দেওয়ার অভিযোগে সভাস্থলেই এক ডিএসওকে সাসপেন্ড করেন। সেই গ্যাস সংযোগ সময়মতো না-দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে আদিবাসী এলাকাতেই। তারপর ফের শিবরাজেরই রাজ্যে এক সরকারি স্কুলে আদিবাসী পড়ুয়ারা সঙ্গে এমন অবমাননাকর ঘটনার অভিযোগ উঠল। বারবার আদিবাসীদের সঙ্গে তাঁর প্রশাসনের আচরণগত অসংগতির অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো অস্বস্তিতে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার।
Read full story in English